• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

 ‘বিদায়ী’ প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিং মেশিন পূর্ণ গতিতে ঘুরছে বাংলায়: জয়রাম রমেশ 

দিল্লি, ২৯ মে – ‘বিদায়ী’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির ওয়াশিং মেশিন পূর্ণ গতিতে ঘুরছে বাংলায়। শুভেন্দু অধিকারীর নারদ কেলেঙ্কারির তদন্ত বিশ বাওঁ জলে।তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচার-দৌড়ে মোদি  যখন শেষ দফার ভোটের আগে বুধবার বাংলায় , তার আগে ‘আজকের প্রশ্ন’ বলে এক্সবার্তায় জবাব চান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ মোদিকে ‘বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী’

দিল্লি, ২৯ মে – ‘বিদায়ী’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির ওয়াশিং মেশিন পূর্ণ গতিতে ঘুরছে বাংলায়। শুভেন্দু অধিকারীর নারদ কেলেঙ্কারির তদন্ত বিশ বাওঁ জলে।তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচার-দৌড়ে মোদি  যখন শেষ দফার ভোটের আগে বুধবার বাংলায় , তার আগে ‘আজকের প্রশ্ন’ বলে এক্সবার্তায় জবাব চান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ মোদিকে ‘বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাতেই মোদি এবং বিজেপির ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’ নামক ভন্ডামির মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছেন তিনি।

রমেশ বলেন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে বাংলায় রেশনের জন্য বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কারণ তারা রেশন দোকানগুলিতে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রচার করেনি। মোদির ছবি সাইনবোর্ড ও ফ্লেক্সে না লাগানোয় জবরদস্তি খাদ্যশস্য তহবিলের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বাস্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য কী করে উপেক্ষা করতে পারেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী? দেশের মানুষের মুখে ভাতের থেকেও কি আত্মপ্রচার বেশি গুরুত্বপূর্ণ, প্রশ্ন রমেশের।

রমেশ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দুর্নীতি ধুয়ে  পরিষ্কার করার  বিষয়েও। তিনি লেখেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলে সিবিআই তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নারদ কাণ্ডে একটি এফআইআর করে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিবিআই লোকসভা স্পিকারের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত সিবিআই আর কখনও লোকসভা স্পিকারের অনুমতি পায়নি। একইভাবে তাপস রায়ের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন রমেশ।

প্রধানমন্ত্রীর ভ্রষ্টাচার হটাওয়ের স্লোগানের প্রচারে দেশ ভরে গিয়েছে। রমেশের মন্তব্য, অন্যদিকে তাঁরই দল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের টিকিট দিতে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী কি জবাব দেবেন কেন এই নেতাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত থমকে গেল ? যে বিজেপি বড় মুখ করে দুর্নীতি নির্মূল করার আওয়াজ তোলে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে তো তাদেরই ওয়াশিং মেশিন পুরোদমে ঘুরছে।