কুশলকুমার বাগচী, বহরমপুর, ২৭ মে— সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার একাধিক জায়গায় বলেছেন, ইণ্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে, পাঁচজন হবে প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার৷ এই কথা বলার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি পরোক্ষে তার পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে৷ সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী৷ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ফলাফল কি হতে চলেছে, এটা বুঝতে পেরে ভিত এবং শোকে মূহ্যমান দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে বিরোধীদের সম্পর্কে সমস্ত কুকথা বের হচ্ছে৷ আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে অধীরবাবু জানান, যারা ভোট দিতে যাবে না, তাদেরকে গিয়ে ভোট দেওয়ার কথা কেন্দ্রিয়বাহিনী বলবে, এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পডে়৷
এদিন সাংবাদিকরা অধীর চৌধুরীকে বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলছেন, ইণ্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে, প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার হবেন পাঁচজন৷ উত্তরে অধীরবাবু বলেন, ‘তাতে মোদির কি যায় আসে? প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার পাঁচজন হন বা পাঁচ কোটি, মোদির তো কিছু যায় আসে না৷ তবে মোদি এটা স্বীকার করে নিচ্ছে ও হারছে৷ এই যে কথাটা বলছে, ইণ্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে, পাঁচজন প্রধানমন্ত্রীর দাবীদার হবে, এই কথার বলার মধ্য দিয়ে মোদি পরোক্ষে তার পরাজয় স্বীকার করে নিল, এটা স্পষ্ট৷’
ইণ্ডিয়া জোট নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর করা এখটি মন্তব্য নিয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও নরেন্দ্র মোদি যেভাবে বিভিন্ন রকমের কুকথা বলেন, তাতে তার রুচি সম্পর্কে দেশবাসী জেনে গিয়েছে৷ উনি কি ধরনের রুচি সম্পন্ন প্রধান মন্ত্রী ছিলেন এটা সবাই বুঝে গিয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি এখন ভীষণ ভয়ের মধ্যে রয়েছেন৷ নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে যে তথ্য ওনার কাছে এসে পৌঁছেছে, তাতে হয়তো মোদির বিদায় নিশ্চিত৷ নির্বাচনের আগে উনি শ্লোগান গিয়েছিলেন, ইসবার চারশো পার৷ আমরা দায়িত্বের সঙ্গে এটা বলতে পারি, ইসবার মোদিজী সত্তা সে বাহার৷ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সম্ভবনা যেভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, এতে ভয় পেয়ে শোকে মূহ্যমান মোদিজী কখন কি বলছেন, দেশবাসী সেটা জেনে গিয়েছে৷ এর নিন্দা সারা দেশের মানুষ করছে৷ যেকথা উনি বলছেন, এ জাতীয় কথা একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শোভা পায় না৷ এটা বলাও ওনার উচিত নয়৷ গোটা দেশ এটা মনে করছে৷ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানুষের এই অভিব্যক্তির ঝলক শেষ পর্যায়ের নির্বাচনেও পড়বে৷ সেটা আপনারা দেখতে পাবেন৷’
এক প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিয়ম এটা, যারা ভোট দিতে যাবে না, তাদেরকে গিয়ে কেন্দ্রিয় বাহিনী বলবে, আপনারা ভোট দিতে চলুন৷ আমরা নিরাপত্তা দেবো৷ এটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পডে়৷ আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট করছি, এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে৷’