• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

ক্ষুধার লাইনে সবার ওপরে ভারত

দিল্লি, ২৮ মে– মঙ্গলবার, ২৮ মে বিশ্বজুডে় পালিত হচ্ছে ক্ষুধা দিবস৷ ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ডে৷ বর্তমানে দেশে চলছে লোকসভা ভোট৷ প্রত্যেক রাজনীতিক দলই ভোট টানতে দিয়ে চলেছেন একের পর এক প্রতিশ্রুতি৷ কেউ বছরে ১ লক্ষ তো কেউ রেশনের প্রতিশ্রুতি৷ কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির পেছনে আসলে দেশের জনগণের কি হাল তা কি জানেন? ভারতের মসনদে আসীন পদ্ম

দিল্লি, ২৮ মে– মঙ্গলবার, ২৮ মে বিশ্বজুডে় পালিত হচ্ছে ক্ষুধা দিবস৷ ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ডে৷ বর্তমানে দেশে চলছে লোকসভা ভোট৷ প্রত্যেক রাজনীতিক দলই ভোট টানতে দিয়ে চলেছেন একের পর এক প্রতিশ্রুতি৷ কেউ বছরে ১ লক্ষ তো কেউ রেশনের প্রতিশ্রুতি৷ কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির পেছনে আসলে দেশের জনগণের কি হাল তা কি জানেন?
ভারতের মসনদে আসীন পদ্ম শিবির যাই বলুক না কেন দেশের ক্ষিদের আসল ছবি দেখিয়ে দিয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচক৷ এই সূচকে যে তথ্য দিচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই কেন্দ্রীয় সরকারের৷ রিপোর্ট বলছে, ভারত যে নম্বর পেয়েছে তাকে বিপজ্জনক বলাই ভালো৷ ১২৫টি দেশের মধ্যে ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ১১১ নম্বরে৷ ১০০ সূচকের মধ্যে ভারত ২৮.৭ নম্বর পেয়েছে৷ অথচ দেশের দারিদ্রজনিত ক্ষুধার হাহাকার নিরাময়ে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে৷
সবথেকে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে ভারত৷ শিশু অপুষ্টি ও মৃতু্যর হারে গোটা বিশ্বে ভারত সবার উপরে আসন পেয়েছে৷ যার হার ১৮.৭ শতাংশ৷ তার আগের বছর ভারত ছিল ১০৭ নম্বরে৷ যদিও এই রিপোর্টকে ভুয়ো বলে ২০২৩ সালেও কেন্দ্র জবাবদিহিতে বলেছিল, পরিসংখ্যানে গলদ আছে এবং যে সমীক্ষার প্রক্রিয়াটি ভুল৷
তবে যদিও মোদি সরকারের কথা মেনেও নেওয়া হয় এবং বিশ্ব খাদ্য সূচককে ভুল বলে ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও ভারতে শিশুদের ভয়ানক অবস্থাকে অস্বীকার করা যাবে না৷ এই সমীক্ষাটিকেই শিলমোহর দিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিবারের সমীক্ষা ৫-এও৷ তাতে দেখা গিয়েছে, দেশের ৮৯ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স ৬-২৩ মাসের মধ্যে, তাদের কপালে নূ্যনতম পুষ্টিকর খাবার জোটে না৷ যার ফলে রক্তাল্পতার অসুখে ভোগে তাদের অধিকাংশই৷ প্রসূতি থেকে ১৫-৪৯ বয়সি মহিলা এবং ৬ বছরের নীচে শিশু ও কৈশোরে পা দেওয়া নাবালক সকলেই এই রক্তের অভাবের শিকার৷
২০২৩ সালেরই সেপ্টেম্বরে পোষণ ট্র্যাকারের হিসেবে বলা হয়েছিল ভারতে প্রায় ৪৩ লক্ষ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে৷ গত জুলাইয়ে নীতি আয়োগের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, ভারতের ৭৪ শতাংশ মানুষের বরাতে দিনে স্বাস্থ্যকর খাদ্য জোটে না৷ আর যে দেশে বাবা-মায়েদের স্বাস্থ্যকর খাবার জোটে না সেখানে তাদের সন্তানদের পুষ্টি দেওয়া অসম্ভব৷ সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, তা পূরণ করা এককথায় অসম্ভব বলা যায়৷
২০১৪ সালে ভারত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ৭৬টি দেশের মধ্যে ৫৫ নম্বরে ছিল৷ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সামান্য উপরে হলেও নেপাল ও শ্রীলঙ্কার তলায়৷ ফলে দেখা যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ভারত নীচের দিকে নামছে৷ বর্তমানে এই সব দেশের নীচে এমনকী উপ সাহারার আফ্রিকার দেশগুলির থেকেও নীচে রয়েছে আত্মনির্ভর ভারত৷