• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রেমালের তাণ্ডবে মিজোরামের পাথর খনিতে ধস নেমে মৃত কমপক্ষে ১৫ , নিখোঁজ বেশ কয়েকজন 

আইজল, ২৮ মে – মিজোরামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে পাথরের খনি ধসে পড়ে কমপক্ষে  ১৫ জনের মৃত্যু হল। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা  নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আইজল শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে মেল্টহুম এবং হালিমেনের মধ্যবর্তী জায়গায়। জাতীয় সড়ক ৬-এ ভূমিধসের কারণে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আইজলের।   মিজোরাম

আইজল, ২৮ মে – মিজোরামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে পাথরের খনি ধসে পড়ে কমপক্ষে  ১৫ জনের মৃত্যু হল। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা  নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আইজল শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে মেল্টহুম এবং হালিমেনের মধ্যবর্তী জায়গায়। জাতীয় সড়ক ৬-এ ভূমিধসের কারণে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আইজলের।  

মিজোরাম সরকার মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া ধসের কারণে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ১৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা বলেছে মিজোরাম সরকার। রাজ্যের সব স্কুল, অফিস, ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা হয়েছে ।

 
ঝড়বৃষ্টিতে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। ইতিমধ্যেই শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সাইক্লোন রেমাল। তবে উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে ধস নামতে শুরু করেছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। মণিপুর, মিজোরাম, অসম, মেঘালয় সর্বত্র একই ছবি। তবে সবথেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মিজোরামে। সেখানে পাথরখনিতে ধস নেমে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।খনি এলাকার পার্শ্ববর্তী ঘরবাড়িগুলির ব্যাপকহরে ক্ষপ্তি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগের মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। 
 
জানা গেছে, মিজোরামের তিন জায়গায় ধস নামার ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আইজলের একটি জায়গায় ধস নেমে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি জায়গা থেকে ২টি দেহ ও অপর এক জায়গা থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে।
 
ডিজিপি অনিল শুক্লা জানিয়েছেন, ‘অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে মিজোরামের আইজলে পাথর খনি ধসে অনেকের মৃত্যু হয়েছে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংস স্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।’    
 
বাংলার উপকূলেও তান্ডব চালায় রেমাল। এরপর উত্তরের দিকে সরে যায় এই সাইক্লোন ঝড় । ঘূর্ণিঝড় স্থান পরিবর্তন করলেও, তার জেরে সোমবার দিনভর বৃষ্টি হয় কলকাতা সহ উপকূলের জেলাগুলিতে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয় বিভিন্ন জায়গায়। ল্যান্ডফলের পর দু দিন কেটে গেলেও দাপট থামেনি। সেই রেমাল-এর জেরেই প্রবল ধস নামল মিজোরামে। অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। অসমে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
 
মণিপুরের কাংপোকপি জেলার একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি আস্ত লরি গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে খাদে। তবে মণিপুরে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
 

অসমে প্রবল বৃষ্টিতে ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। একটি গাছ পড়ে গিয়ে আহত হয় অন্তত ১২ জন  শিশু। সাইক্লোনের এই দাপট থেকে সহজে পরিত্রাণ মিলবে না বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। পাহাড়ের বেশ কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।