ঋষিকেশ, ২৩ মে – ছবির নাম ‘থ্রি ইডিয়টস’, যেখানে ব়্যাঞ্চো তাঁর বন্ধু রাজুর বাবাকে স্কুটিতে বসিয়ে সোজা হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে গিয়েছিল। সেই দৃশ্য দর্শকদের মন ভরালেও বাস্তবে যদি তা হয়, তার ছবিটা কেমন হতে পারে ? ঠান্ডা মাথায় ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
তবে এবার সিনেমা নয়, সত্যি। হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকল খোদ পুলিশের গাড়ি। তবে কোন রোগী ভর্তি করতে নয়, এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে।
এক মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালেরই নার্স অফিসারের বিরুদ্ধে। তাঁকে পাকড়াও করতে হাসপাতালের ভিতরেই গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ল পুলিশ। ঋষিকেশ এইমস-এর এই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে । হাসপাতালের ভিতরের যে ভিডিও ভাইরাল হয়, সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি সোজা করিডর ছাড়িয়ে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে যাচ্ছে। পুলিশের গাড়ির দু পাশে থাকা একাধিক বেডে শুয়ে রয়েছেন রোগী। কয়েকজন পুলিশ কর্মী রোগীদের স্ট্রেচার সরিয়ে দিচ্ছেন, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। অভিযুক্তকে হাসপাতালের ভিতর থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই নার্সিং অফিসার অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই এক মহিলা চিকিৎসককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে আপত্তিকর কিছু মেসেজও পাঠিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে বাকি চিকিৎসকরা হাসপাতালের ডিনের কেবিনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সতীশ কুমার নামে ওই নার্সিং অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, যে কাজ সতীশ কুমার করেছে তার জন্য সাসপেনশন কোনও শাস্তি নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত সতীশ কড়া শাস্তি পাচ্ছেন ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা তাঁকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও হাসপাতালের কোনও কাজ বন্ধ থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা ।