এভারেস্ট ও এমডিএইচ মশলা রিপোর্ট হাতে পেল এফএসএসএআই
দিল্লি, ২২ মে– পড়শি দুই দেশ ক্যানসারের ‘বিষ’ আছে জানিয়ে ভারতের দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের মশলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷ তারপরই ভারতীয় এই মশলার সত্যি আবিষ্কারে নেমে পড়ে এফএসএসএআই৷ অবশেষে স্বস্তি৷ এমডিএইচ ও এভারেস্টের মশলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সন্ধান মেলেনি বলেই জানতে পেরেছে এফএসএসএআই৷ সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৮টি ল্যাবরেটরির রিপোর্টের পরীক্ষা দাবি করছে এই মশলাগুলিতে কোন এ জাতীয় ‘বিষ’ নেই৷ অবশ্য এখনও ৬টি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট আসতে বাকি৷ তবে এখনও কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি৷ সম্ভবত সমস্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে কেন্দ্র৷
প্রসঙ্গত, এক ধরনের কীটনাশক মশলায় ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক হিসেবে৷ যার নাম ইথিলিন অক্সাইড৷ এটি কার্সিওজেনিক বলে পরিচিত৷ অর্থাৎ যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে৷ সেই উপাদান ভারতীয় মশলায় ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে গত মাসেই পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল৷ দেশের শীর্ষস্থানীয় মশলা নির্মাতা সংস্থার বহু পণ্যই নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর, হংকং সহ নেপাল৷ তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে এদেশেও সমস্ত মশলার নমুনা যাচাই করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ এর পর কেরলের ইন্ডিয়ান স্পাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, হরিয়ানার এনআইএফটিইএম, মুম্বইয়ের বিএআরসি, লখনউয়ের সিএমপিএপি, অসনের ডিআরডিও, আইসিএআর, পুণেতে অবস্থিত ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন গ্রেপসের মতো বহু সংস্থার তরফে পরীক্ষা করা হয়েছিল ভারতীয় মশলার নমুনা৷ এর আগেই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, কোনও মশলায় কতখানি কীটনাশক মেশানো হবে, সেই নিয়ে ভারতে যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে৷ এই ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে কড়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম৷ জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই কীটনাশক মেশানোর মাত্রায় তারতম্য করা হয়৷