ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেলের অতিরিক্ত প্রধান বন সংরক্ষক এসওয়াই রামা রাও জানিয়েছেন, এলাকায় ৩৬টি ফ্ল্যামিংগো পাখির দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও ফ্লেমিংগো পাখির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেলের ডেপুটি কনজারভেটর দীপক খাদে জানিয়েছেন, ‘পাখির ঝাঁকটির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার ঘটনাটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে। লক্ষ্মী নগরের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।’
ম্যানগ্রোভ প্রোটেকশন সেলের রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার প্রশান্ত বাহাদুর বলেন, ‘ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করছে ফ্লেমিংগো পাখিগুলির সঙ্গে এমিরেটসের একটি বিমানের ধাক্কা লাগে। রাত ৯টা ১৫ নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন আমাদের বিভাগের কর্মীরা। এনজিও বনশক্তির পরিবেশবিদ ডি স্টালিন বলেন, ‘কী কারণে রাতের বেলায় পাখির ঝাঁকের সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অভয়ারণ্য এলাকার মধ্য দিয়ে নতুন বিদ্যুতের লাইন যাওয়ার পাখিদের বিভ্রান্তি বেড়েছে। সেই কারণেই উড়ন্ত অবস্থায় বিমানের ধাক্কা খাওয়ার মতো ঘটনা ঘটল। তাই এই কাজে অনুমতি দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এনজিও বনশক্তির পরিবেশবিদ ডি স্টালিন দাবি করেছেন, এনআরআই কমপ্লেক্স এলাকার জলাভূমি এবং টিএস চাণক্য হ্রদগুলি ফ্লেমিংগো পাখিদের আস্তানা। তবে গত মাস থেকেই নির্মাণকাজ হবে বলে সেখান থেকে পাখিদের তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। তাঁর অনুমান, কারওর তাড়া খেয়েই ওই পাখিগুলি উড়ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই বিমানের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। যে বিমানটির সঙ্গে পাখিদের ধাক্কা লেগেছে তাতে ৩১০ জন যাত্রী ছিল বলে খবর। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫০৮ বিমানটি রাত ৯টা ১৮ মিনিটে পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
সোমবার রাতে ২৯টি ফ্লেমিংগো পাখির দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার সকালে আর চার, পাঁচটি পাখির দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিমান সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি মেলেনি। উল্লেখ্য,মুম্বাই ও নভি মুম্বাইয়ের উপকূল বরাবর জলাভূমি ফ্ল্যামিংগোদের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। পরিযায়ী পাখিরা ডিসেম্বরের দিকে এই উপকূলে আসে এবং মার্চ এবং এপ্রিল পর্যন্ত দেখা যায়।