• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফের আরএসএস-এ ফিরব, অবসরের পর জানালেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  সোমবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশের অবসর গ্রহণের দিন৷ এদিন অবসর পাওয়া বিচারপতি জানালেন, ‘একটা সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য ছিলাম৷’ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিজের শেষ কর্মদিবসে তিনি জানান যে, ছেলেবেলায় আরএসএসের সদস্য ছিলেন৷ পরবর্তীতে যখন বিচারব্যবস্থার অংশ হয়ে ওঠেন, তখন আরএসএস ছেডে় দেন৷ এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে, বিচারপতিদের রাজনৈতিক

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  সোমবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশের অবসর গ্রহণের দিন৷ এদিন অবসর পাওয়া বিচারপতি জানালেন, ‘একটা সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য ছিলাম৷’ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিজের শেষ কর্মদিবসে তিনি জানান যে, ছেলেবেলায় আরএসএসের সদস্য ছিলেন৷ পরবর্তীতে যখন বিচারব্যবস্থার অংশ হয়ে ওঠেন, তখন আরএসএস ছেডে় দেন৷ এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে, বিচারপতিদের রাজনৈতিক সংস্রব নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে৷ বিচারপতিদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে৷ এবার সেই বিতর্ককে আরও এককদম এগিয়ে নিয়ে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টেরই আরেক বিচারপতি, চিত্তরঞ্জন দাশ৷ এদিন ছিল তাঁর অবসরগ্রহণ৷ অবসরের দিন তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিত্ব গঠন এবং তাঁর মধ্যে সাহস ও দেশপ্রেমের ভাব জাগানোর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর৷ প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর রাজনৈতিক মুখই হল বিজেপি৷ এদিন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ জানান, একেবারে ছোটবেলা থেকেই তিনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘আজ, আমাকে অবশ্যই আমার সত্যিকারের রূপ প্রকাশ করতে হবে৷ একটি সংস্থার কাছে আমার অনেক ঋণ আছে৷ আমি আমার শৈশব থেকে যৌবন অর্জন পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম৷ এই সংস্থার কাছ থেকে আমি সাহসী, ন্যায়পরায়ণ হতে শিখেছি, সকলের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে শিখেছি এবং সর্বোপরি,  যেখানেই কাজ করি না কেন, দেশপ্রেমের অনুভূতি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে শিখেছি৷ স্বীকার করতেই হবে, আমি আরএসএসের একজন সদস্য৷’ তবে, বিচারপতির পদে বসার পর আরএসএস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ৷ তাঁর আরও দাবি, দলমত নির্বিশেষে তিনি সমস্ত মামলা এবং মামলাকারীদের নিরপেক্ষভাবে মোকাবিলা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘আমি আমার কাজের জন্য, প্রায় ৩৭ বছর ধরে নিজেকে আরএসএস-এর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি৷ আমি আমার কর্মজীবনের কোনও অগ্রগতির জন্য আমার সংস্থার সদস্যপদ ব্যবহার করিনি৷ এটি আমাদের নীতি-বিরুদ্ধ৷ আমি সবার সঙ্গে সমান আচরণ করেছি৷ কমিউনিস্ট হোক, বিজেপি হোক বা তৃণমূলের লোক হোক, আমি কারও বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি৷’