• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজস্থানে গণধর্ষণ এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ২ ভাইকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা আদালতের 

২০ মে – ২০২৩-এর আগস্ট মাসে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং তারপর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ‘ বিরলের মধ্যে বিরল ‘ বলে উল্লেখ করল আদালত। সোমবার ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলা বিশেষ আদালত। কালু কালবেলিয়া এবং কানহা কালবেলিয়াকে ধর্ষণ এবং খুনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।তাই তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।

২০ মে – ২০২৩-এর আগস্ট মাসে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং তারপর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ‘ বিরলের মধ্যে বিরল ‘ বলে উল্লেখ করল আদালত। সোমবার ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলা বিশেষ আদালত। কালু কালবেলিয়া এবং কানহা কালবেলিয়াকে ধর্ষণ এবং খুনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।তাই তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্তরা রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।   

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ২ আগস্ট ভিলওয়াড়ার কোটরিতে নিখোঁজ হয়ে যায় ১৪ বছরের নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে সেই রাতে চার ঘন্টা ধরে গণধর্ষণ করে দুই ভাই কালু এবং কানহা ।  ৩ আগস্ট তার পোড়া দেহ চুল্লি থেকে পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ বছরের নির্যাতিতাকে চুল্লিতে ফেলে দিতে দুই অভিযুক্ত কালু এবং কানহাকে  সাহায্য করেছিল মহিলারা। কোটরির ডিএসপি শ্যাম সুন্দর বিষ্ণই জানান,  ঘটনায় জড়িত দুই নাবালক-সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।  প্রাথমিক ভাবে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 
 
এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরল’ বলেছে  আদালত। পকসো আইনে দুই অভিযুক্ত কালু এবং কানহাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারপতি। যদিও প্রমাণ নষ্টের অভিযুক্ত তিন মহিলা-সহ ৭ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে বিশেষ আদালত। অভিযুক্ত তিন মহিলার মধ্যে দুজন কালু এবং কানহার স্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী মহাবীর সিং কিশনাওয়াত জানান, কালু এবং কানহাকে ধর্ষণ এবং খুনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।  সাজাপ্রাপ্তরা রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
 
গত বছর ৩ আগস্ট ভিলওয়াড়ার ইটভাটা থেকে কিশোরীর পোড়া দেহাংশ উদ্ধার হয়। এরপরই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করার পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চার অভিযুক্ত কালু কালবেলিয়া, বয়স ২৫, কানহা কালবেলিয়া, বয়স ২১, সঞ্জয় কুমার ,২০ এবং ৩৫ বছরের পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জীবিত অবস্থায় কিশোরীকে ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লিতে ফেলে দিতে সাহায্য করে অভিযুক্তদের স্ত্রী, মা এবং বোন। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল স্থানীয় থানার সাব-ইন্সপেক্টরকে। সেই ঘটনাতেই দুই অভিযুক্তকে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।