• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

টাকা বকেয়া, বর্ধমানের জেলাশাসকের বাংলো ক্রোক করার নির্দেশ আদালতের

নিলাম হতে পারে জুলাইয়ে আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৮ মে— অধিগৃহীত জমির দাম না মেটানোর জন্য এবার বর্ধমানের জেলা শাসক বাংলো নিলামে চড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলো৷ অবিলম্বে বাংলো ক্রোক করে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ কলকাতার হো চি মিন সরনীর বাসিন্দা সুশান্ত কুমার গোস্বামীর করা একটি মামলায়

নিলাম হতে পারে জুলাইয়ে

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৮ মে— অধিগৃহীত জমির দাম না মেটানোর জন্য এবার বর্ধমানের জেলা শাসক বাংলো নিলামে চড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলো৷ অবিলম্বে বাংলো ক্রোক করে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ কলকাতার হো চি মিন সরনীর বাসিন্দা সুশান্ত কুমার গোস্বামীর করা একটি মামলায় বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ ওই নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে৷ আর এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সব মহলেই৷

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালেও বর্ধমানে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণ কাজে কলকাতার বাসিন্দা সুশান্ত কুমার গোস্বামীর ০.৪১ একর পরিমাণ জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা হয়৷ যার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৪০ টাকা৷ কিন্ত্ত ওই টাকা আজও মেটানো হয়নি৷ তার ফলে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলাও চলছে৷ ২০১৫ সালে জমির মালিক ফের আদালতে মামলা করেন৷ কারণ ২০১৩ সালের মামলাতে জমির মালিককে আদালতের পক্ষ থেকে ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা মিটিয়ে দেবার জন্য আদেশ জারি করা হয়েছিল৷ এবার তাই চুড়ান্ত আদেশ দিয়ে বিচারক অবিলম্বে ডিএম বাংলো এবং বাগান ও সামনে থাকা ফাঁকা জমি ক্রোক করে নিলামে চড়ানোর নির্দেশ দিলেন৷ অবিলম্বে বর্ধমানের জেলা আদালতের নাজিরকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ বাংলোর দাম কত হতে পারে তার দরদাম ঠিক করার জন্যও নির্দেশ জারি হয়েছে৷ এ বিষয়ে নাজির কে আগামী ১৯ জুলাই আদালতে রিপোর্ট জমা করার জন্য বলা হয়েছে৷ সরকারি আইনজীবী মুমারী মোহন কুমার বলেন এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার জন্য সময়সীমা চাওয়া হয়েছে৷ তবে এদিন আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী সময় চেয়েও পাননি৷ ওই আবেদন খারিজ করে জেলাশাসকের বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারক৷ সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে ১৭ মে এর মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেবার কথা নির্দেশ ছিল৷ জমির মালিক কে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৯০ টাকা দেবার নির্দেশ ছিল আদালতের৷ ওই টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোধ না করার জন্য বাংলো ক্রোক করার নির্দেশ জারি হয়৷

জানা গেছে, এর আগেও ২০১৫ সালে আরও একবার জেলাশাসক বাংলো নিলামে চড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ সেখানে সময় চাওয়া হয়েছিলো সরকারের তরফে৷ কিন্ত্ত এবার আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে বিচারক জানিয়েছেন৷ একই সঙ্গে ডিএম বাংলোর ৩.০৪ একর জমির উপর তৈরি বাংলো বাজেয়াপ্ত হবে বলে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে৷