নিজস্ব প্রতিনিধি– দোষ করলে থাপ্পড় মারবে জনগণই, জনতাকে সেই ‘অধিকার’ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার আরামবাগের গোঘাটে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সভা থেকেই জনতার হাতে ‘অধিকার’ তুলে দেন৷ বলেন, “তৃণমূল দোষ করলে দুটো থাপ্পড় মারবেন, সেই অধিকার আছে আপনাদের৷” এদিনের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ দেগে বলেন, “বাঙালিরা তোমাদের পছন্দ করে না৷ ওরা বিজ্ঞাপনে প্রচুর টাকা খরচ করে৷ অথচ গরিবদের দেওয়ার টাকা নেই৷ টাকা খরচ করে মন পাওয়া যায় না৷ এটা হূদয় দিয়ে হয়৷” প্রশ্ন তুলে বলেন, “এবার যদি ওরা জিতবেই তবে কেন অমিত শাহ বলবেন, শেয়ারে টাকা জমাও৷ পরে লাভ পাবেন৷ আসলে শেয়ার সব ধসে গিয়েছিল৷ এখন নিজেদের টাকা দিয়ে শেয়ার ঠিক করছে৷ ওই শেয়ারে যারা টাকা জমাবে, তাদের সব ধসে যাবে৷ কেউ জমাবেন না৷” তাঁর আরও দাবি, “অমিত শাহ নির্বাচন চলাকালীন একথা বলতে পারেন না,এটা পরিষ্কার আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে৷ শেয়ারে টাকা ঢালবেন নাকি ঢালবেন না, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার৷ আমি বুঝি না৷” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, “মোদি এবার আসছেন না৷” একদা স্বামী-স্ত্রী৷ বর্তমানে বাংলার রাজনীতিতে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থী৷ একে অপরকে দেখলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন যেন! রাজনীতির মঞ্চ থেকে লাগাতার পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছেন দু’জনেই৷ কিন্ত্ত বিষ্ণুপুরের তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে একসময়ে অন্য সম্পর্ক ছিল৷ তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন৷ সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে প্রচার করতে গিয়ে তাই প্রার্থীকে যেন আগলে রাখলেন ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনীতির ময়দানে যাঁকে সকলে ‘দিদি’ বলে চেনেন, বিষ্ণুপুরের মঞ্চে সৌমিত্র খাঁয়ের প্রসঙ্গে আক্ষরিক অর্থেই তিনি ‘দিদি’ হয়ে উঠলেন৷ পারিবারিক সম্পর্ক এবং স্নেহের ছোঁয়া পাওয়া গেল তাঁর ভাষণে৷ শনিবার বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুজাতার সমর্থনে বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সভা করেন মমতা৷ সেখানেই আসে বিজেপি প্রার্থী তথা সুজাতার প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্রের প্রসঙ্গ৷ মমতা বলেন, ”ওই ছেলেটার নাম আমি নিতে চাই না৷”