দিল্লি, ১৬ মে – লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের দাবি, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির আসন বাড়ছে। তবে তৃতীয়বারও কি ফের দেশের সিংহাসন দখল করবে মোদি সরকার? ‘অবকি বার ৪০০ পার’ বুলি কি সত্যি হতে চলেছে ? নাকি সব ভাবনা ওলটপালট করে দিয়ে নয়া ইনিংস শুরু করবে ইন্ডিয়া জোট ? নির্বাচনী আবহে এসব এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ৪০০ হবে না বলে দাবি করেন। তবে তাঁর দাবি, গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত ভোট ২০০তেও নেমে আসবে না। ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া দলের পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর।
চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন মিটেছে। ভোট দিয়ে দিয়েছেন প্রায় ৪০০ লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ। চার দফাতেই দেখা গিয়েছে, ভোটদানের হার বেশ কম। বিরোধীরা বলছেন, মানুষের মধ্যে মোদিকে ভোট দেওয়ার যে উৎসাহ ২০১৪ বা ২০১৯-এ দেখা গিয়েছিল, এবার তা উধাও। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফা, ২৫ মে ষষ্ঠ দফা ও ১ জুন অন্তিম দফার নির্বাচন। ফলাফল ৪ জুন। ওই দিনই জানা যাবে দেশের কুর্সি কার দখলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ ১৯৫ আসনে আটকে যাবে। সত্যিই কি গত কয়েকদিনে এতটা বদলে গিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ? কী বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, “লালু-নীতীশ গত ৩০ বছর ধরে বিহার শাসন করেছেন এবং তারা সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস ভঙ্গের কাজও করেছেন। ৩০ বছরে বিহারের মানুষের দারিদ্র্য কমেনি ।
উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিজেপির ন্যূনতম ক্ষতির সম্ভাবনার দিক উল্লেখ করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপির লাভের মুখ দেখবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন পিকে। প্রশান্ত কিশোর বলেন, আসলে এই ভাবে বিরোধীদের উপর মনঃস্তাত্বিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল। তবে গেরুয়া শিবির ২০০ আসনে নেমে যাবে এমনটা হবে না কখনই। তা যদি হতে হয় তবে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বিজেপিকে অনন্ত ১০০ আসনে হারতে হবে।