প্যারিস– কিলিয়ান এমবাপে ক্লাব ছাড়ছেন, সেই ঘোষণা দিয়েছেন নিজেই৷ সেইসঙ্গে প্যারিসে একটা লম্বা যুগেরও শেষ হচ্ছে৷ কথা ছিল তুলুসের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে বিদায় সংবর্ধনা থাকবে ফ্রেঞ্চ এই তারকার জন্য৷ কিন্ত্ত যদিও মাঠে তা দেখা যায়নি৷ পিএসজিও ম্যাচ জিতে আসতে পারেনি৷ ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচটা হার দিয়েই শেষ করতে হলো কিলিয়ান এমবাপেকে৷
তবে ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যম লে প্যারিসিয়েনের খবরে উঠে এসেছে সেদিনের আরেক চিত্র৷ তুলুসের বিপক্ষে সেই ম্যাচের আগে নাকি ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে এমবাপের৷ একটি আলাদা কক্ষে দুজনের মধ্যে এমন বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে৷
প্রতক্ষ্যদর্শীর বিবরণে লে প্যারিসিয়েন জানিয়েছে, তাদের এই ঘটনার সময় ‘দেয়াল কেঁপে উঠেছিল’৷ যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ক্লাব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাতাহাতিতেই জড়িয়েছিলেন এমবাপে৷ এর প্রভাব পড়েছিল ম্যাচের ওয়ার্ম আপের ক্ষেত্রে৷ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪ মিনিট পর সেদিন ওয়ার্মআপে এসেছিল পিএসজির খেলোয়াড়রা৷
ঘটনার সূত্রপাত এমবাপের বিদায়ী ভিডিও নিয়ে৷ ফ্রেঞ্চ এই তারকা নিজের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের ভিডিওতে সকল খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থক, সাপোর্টিং স্টাফসহ সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত সেই সংক্ষিপ্ত বার্তায় ছিল না কাতারের আমির কিংবা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির নাম৷ খেলাইফি মূলত এই বিষয় নিয়ে আলাপ করতেই এমবাপেকে আলাদা করে ডেকে নেন৷
সেখানেই জানতে চাওয়া হয় কেনো এমবাপে ভিডিওতে খেলাইফি বা কাতারের আমিরের নাম উল্লেখ করেননি৷ পুরো বিষয়টি নিয়েই মূলত বসচা হয়েছে দুজনের৷ আর তাতেই শুরু হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি৷
পরে অবশ্য কোনোকিছুই মনমতো হয়নি৷ এমবাপের বড় একটি টিফো নিয়ে আসে পিএসজির সমর্থকরা৷ সেটিই ছিল ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার বিদায়ে একমাত্র স্মারক৷ কোচ লুইস এনরিকে তাকে খেলিয়েছেন ম্যাচের পুরোটা সময়৷ তাই দর্শকদের দাঁড়িয়ে বিদায় জানানোর মতো কোনো উপলক্ষ্যও আসেনি৷
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এমবাপে এবং নাসের আল খেলাইফির সম্পর্কে অবনতি এসেছিল৷ এরপর সেটার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল রোববার ম্যাচের আগে৷ সোমবার পিএসজির পক্ষ থেকে এক বার্তায় অবশ্য দুজনের বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে৷ তবে, তাদের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি তাতে৷
