অভিষেক রায়, খড়গপুর, ১৪ মে— মেদিনীপুরের নির্বাচনী ময়দানে এবারে তিনি নেই৷ কিন্ত্ত তাকে নিয়েই রাজনৈতিক শিবিরের রং নির্বিশেষে ঔৎসুক্য সব মহলে৷
তিনি দিলীপ ঘোষ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুরে পা দিয়ে ন বারের বিধায়ক চাচা জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়ে বাংলা রাজনীতির শিরোনামে উঠে আসেন৷ তিন বছর পরে নিজের প্রবল জনপ্রিয়তায় পৌঁছে যান সংসদে৷ কিন্ত্ত ২০২৪ সালে দল মেদিনীপুর থেকে টিকিট না দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয় বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে৷ ১৩ই মে নির্বাচনের পাট সাঙ্গ হয়েছে৷ আগামী ২৫ মে মেদিনীপুরে নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দিলীপবাবু খড়্গপুরে পা রাখেন কিনা, তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সব মহলে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কাউন্সিলর বলছিলেন, দিলীপ ঘোষ প্রচারে নামলে অনেক খেলা ঘুরে যাবে৷ এখন দাঁডি়য়ে আমরা যেসব অংক কষছি তা উলটপালট হয়ে যাবে৷
মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান, দিলীপ ঘোষ কি প্রচারে আসবেন৷
দিলীপবাবুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, খড়গপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অভিষেক আগরওয়াল বলেন, দিলীপদা অবশ্যই আসবেন৷ যতটুকু জানি তিনি ৭-৮ টা লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন৷ তার মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর৷ খড়গপুর শহরে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬৩ নম্বর বুথে ভোটার দিলীপ ঘোষ৷ অভিষেক বলেন, এ কথাটা ঠিক কর্মীদের মধ্যে দিলীপ ঘোষকে ঘিরে যে উৎসাহ থাকতো সেটা হয়তো কিছুটা খামতি আছে৷ প্রথম যখন মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা পালের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হয় তখন অনেকেই ভেঙে পডে়ছিলেন৷ কিন্ত্ত পরবর্তী সময়ে দিদিভাই তার লড়াই, তার পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা ফিরিয়ে এনেছেন৷ দিলীপ ঘোষ এলে সেই উন্মাদনা আরো বাড়বে৷
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেরা বলেন, প্রার্থী নিজে পরিশ্রম করছেন৷ কর্মীরাও পরিশ্রম করছে৷ দিলীপদা এলে সেটা হবে আমাদের কাছে বড় পাওনা৷
খড়গপুর সদর এক নম্বর মন্ডলের সভাপতি দীপসোনা ঘোষ বলেন, এটা বাস্তব কথা৷ তার অন্য একটা কারণও আছে৷ এবারে বড় বড় সভা, রোড শো ছেডে় আমরা বাডি় বাডি় প্রচার, ছোট ছোট চাটাই বৈঠকের ওপর জোর দিয়েছি৷ এবার বড় বড় সভা, মিছিল, রোড শো হবে৷ কর্মীদের উৎসাহ উন্মাদনাও বাড়বে৷ উৎসাহ কম থাকার যে কথা উঠছে সেটা সাময়িক৷ দিলীপদা ২১ বা ২২ মে খড়গপুরে আসতে পারেন৷
দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান দুর্গাপুরে গেলেও সেই দিলীপ ঘোষই আছেন, অন্তত খড়গপুরবাসীর কাছে৷ রাজনৈতিক রঙ নির্বিশেষে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে হাটে বাজারে খোঁজখবর অন্তত সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়৷