• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আশঙ্কা সত্যি করেই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত

আশঙ্কা সত্যি করেই বাড়ল খাদ্যপণ্যের দর৷ অর্থনীতিবিদরা আগেই মনে করেছিলেন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে আগামী মাসগুলিতেও৷ আর হলও তাই৷  কমার স্থানে গত মাসে খুচরো বাজারে আরও খানিকটা চডে় গেল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ গৃহস্থের সংসার খরচ বাডি়য়ে আনাজ থেকে শুরু করে ডাল, ফল ইত্যাদির দাম বেডে়ছে৷ ডিম, মাংস, মশলা, খাদ্যশস্য ইত্যাদি একটু মাথা নামালেও যথেষ্ট চড়া৷ তবে

আশঙ্কা সত্যি করেই বাড়ল খাদ্যপণ্যের দর৷ অর্থনীতিবিদরা আগেই মনে করেছিলেন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে আগামী মাসগুলিতেও৷ আর হলও তাই৷  কমার স্থানে গত মাসে খুচরো বাজারে আরও খানিকটা চডে় গেল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ গৃহস্থের সংসার খরচ বাডি়য়ে আনাজ থেকে শুরু করে ডাল, ফল ইত্যাদির দাম বেডে়ছে৷ ডিম, মাংস, মশলা, খাদ্যশস্য ইত্যাদি একটু মাথা নামালেও যথেষ্ট চড়া৷ তবে সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নামমাত্র হলেও সার্বিক ভাবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৪.৮৩%৷ যা ১১ মাসে সব থেকে কম৷ মার্চে ছিল ৪.৮৫%৷ যদিও আগের বছরের এপ্রিলের ৪.৭০% থেকে এ বারের হার বেশি৷
সাধারণত শীতের মরশুমে হরেক রকম সবজির উৎপাদন হয় অনেক সহজে ও বেশিমাত্রায়৷ তাই সস্তায় আনাজ মেলে৷ কিন্ত্ত গত শীতে দেখা গেছে বিপরীত ছবি৷  তখনই বোঝা গিয়েছিল গ্রীষ্মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে৷ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের বক্তব্য, ‘সার্বিক খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমছে, অথচ খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তা বাড়ছে৷ এতে মানুষের তেমন সুরাহা হয় না৷ কারণ, সংসার খরচ বেডে় যায় অত্যাবশ্যক খাতে৷’ দেশে ডিজেলের দাম যথেষ্ট পরিমাণে না কমাও খাদ্যপণ্যের দাম চডে় থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তিনি৷ যে কারণে একাংশের দাবি, ভোটের মুখে ডিজেল মাত্র ২ টাকা কমিয়ে লাভ হয়নি৷ তা আরও কমানো হোক৷ প্রয়োজনে তেলের উৎপাদন শুল্কে ছাড় দিক কেন্দ্র৷ যাতে খাদ্যপণ্য পরিবহণের খরচ কমায় খুচরো বাজারে দাম কমলে একটু স্বস্তি পান আমজনতা৷
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী বলছেন, ‘এমনতিই গরমের সময় আনাজ-সহ কৃষিপণ্যের দাম চডে়৷ এ বারও সেটা হয়েছে৷ আর খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হিসাবের ক্ষেত্রে অর্ধেকটা জুডে় খাদ্যপণ্য৷ ফলে সেই দামে রাশ না পড়লে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিকে ধারাবাহিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন৷’ তিনি মনে করছেন, দীর্ঘ মেয়াদে মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানোর সম্ভাবনা তৈরি না হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হয়তো সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ করবে না৷
একাংশের মতে, সুদ কমার পথ চওড়া করতেই খাদ্যপণ্যের সস্তা হওয়া দরকার ছিল৷ সরকার মরিয়া হয়ে সেই চেষ্টা করলেও লাভ হল না৷ এপ্রিলের পরিসংখ্যান বরং ভোটের মধ্যে তাদের অস্বস্তি বাড়াল৷ সুদ না কমলে লগ্নি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে না৷ তবে সরকারি মহলের দাবি, স্বস্তি দিয়ে কমেছে মূল্যবৃদ্ধি৷ বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হওয়ার পূর্বাভাস মিলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷