• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১০ বছরের জন্য চাবাহার বন্দর এখন ভারতের

দিল্লি, ১৪ মে– চাবাহার বন্দরের দায়িত্বে ভারত৷ এই প্রথম বিদেশের কোনও সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব পেল ভারত৷ আগামী ১০ বছরের জন্য ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার ভার হাতে নিল ভারত৷ তবে চাবাহার বন্দরের দায়িত্ব নেওয়ার পেছনে ভারতের কাছে প্রধান লক্ষ্য ব্যবসার থেকেও বড় বৈদেশিক কূটনীতিই বলে মত সংশ্লিষ্ট সূত্রের৷ কারণ নির্বাচন চলাকালীনই তডি়ঘডি় ইরানের বন্দর নিয়ে চুক্তি সই

দিল্লি, ১৪ মে– চাবাহার বন্দরের দায়িত্বে ভারত৷ এই প্রথম বিদেশের কোনও সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব পেল ভারত৷ আগামী ১০ বছরের জন্য ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার ভার হাতে নিল ভারত৷ তবে চাবাহার বন্দরের দায়িত্ব নেওয়ার পেছনে ভারতের কাছে প্রধান লক্ষ্য ব্যবসার থেকেও বড় বৈদেশিক কূটনীতিই বলে মত সংশ্লিষ্ট সূত্রের৷ কারণ নির্বাচন চলাকালীনই তডি়ঘডি় ইরানের বন্দর নিয়ে চুক্তি সই করা হয়েছে৷
আরব সাগরে চাবাহারের পাশাপাশি ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবালকে বঙ্গোপসাগরে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের ভার নেওয়ার বিষয়েও গত মাসে মঞ্জুরি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক৷ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চাবাহারের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ায় ভারত আফগানিস্তান, ইরান হয়ে রাশিয়া পর্যন্ত জলপথ পরিবহণে আধিপত্য কায়েম করতে পারবে৷ পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে আফগানিস্তান এবং পশ্চিম এশিয়ায় পৌঁছতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে সেটিকে৷ বৃহত্তর ইউরেশিয়ান (ইউরোপ-এশিয়া) অঞ্চলেও বন্দরটি দেশের প্রধান সংযোগস্থল হতে চলেছে৷
সূত্র বলছে, পাকিস্তানের গদর বন্দর ও চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোডের সঙ্গে টক্কর নিতে এটি তুরুপের তাস হতে পারে নয়াদিল্লির৷সোমবার জাহাজ ও বন্দরমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল তেহরানে ইরানের সড়ক ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজরপাশের উপস্থিতিতে ভারতের ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড ম্যারিটাইম অরগানাইজ়েশনের মধ্যে ওই চুক্তি হয়েছে৷ ২০১৫ থেকে চাবাহারের শহিদ বেহেস্তি বন্দর ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর ভারত-ইরানের চুক্তি নবীকরণ হচ্ছিল৷ নতুন চুক্তির ফলে টানা ১০ বছর বন্দরের পরিচালনভার পেল ভারত, যা মেয়াদ পার হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে নবীকরণ হবে৷
ভারতের কৌশলগত অবস্থান মজবুত করার অস্ত্র চাবাহারের নিকটতম বন্দর গুজরাতের কান্দালা৷ দূরত্ব ৫৫০ নটিক্যাল মাইল৷ মুম্বইয়ের দূরত্ব ৭৮৬ নটিক্যাল মাইল৷ সোনোয়াল জানান, ৭২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত আন্তর্জাতিক নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে চাবাহারকে যুক্ত করার পরিকল্পনা৷ ভারত, পশ্চিম এশিয়া, ইউরেশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং পরিবহণ খরচ ও সময় কমানোর নিরিখে প্রাণকেন্দ্র হতে পারে এটি৷
পাকিস্তান পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিকে করাচি বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিচ্ছিল৷ কিন্ত্ত ভারত চাবাহারকে লাভজনক বিকল্প হিসেবে তুলে ধরে৷ কাজাকাস্তান, উজবেকিস্তানের মতো দেশ এর মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা বাড়াতে চায়৷ এ দেশের ব্যবসায়ীরাও সহজে ও সুলভে পশ্চিম এশিয়ায় পৌঁছতে পারবেন৷ আইএনএসটিসির মাধ্যমে চাবাহার বন্দরে যুক্ত হতে চাইছে আমেরিকাও৷