• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরে ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণর্‌

রথীন পালচৌধুরী: ছোটখাটো মারামারি হাতাহাতির বাইরে কোনও বড় ধরনের অশান্তির খবর নেই৷ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে বিজেপির রানিমা অমৃতা রায়ের জোর টক্কর৷ এখানে সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি ময়দানে রয়েছেন৷ কৃষ্ণনগরে অগ্নিপরীক্ষা মহুয়ার. কালীগঞ্জ, নাকশিপাড়া, চাপবা, পলাশিপাড়ার মতো সংখ্যালঘু অধু্যষিত ভোট কেন্দ্র রয়েছে৷ চাপড়ার বার্ণিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সিপিএম

রথীন পালচৌধুরী: ছোটখাটো মারামারি হাতাহাতির বাইরে কোনও বড় ধরনের অশান্তির খবর নেই৷ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে বিজেপির রানিমা অমৃতা রায়ের জোর টক্কর৷ এখানে সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি ময়দানে রয়েছেন৷ কৃষ্ণনগরে অগ্নিপরীক্ষা মহুয়ার. কালীগঞ্জ, নাকশিপাড়া, চাপবা, পলাশিপাড়ার মতো সংখ্যালঘু অধু্যষিত ভোট কেন্দ্র রয়েছে৷ চাপড়ার বার্ণিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সিপিএম এজেন্টকে ভোটের শুরুতে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে. পরে সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে এজেন্টকে বসানোর ব্যবস্থা করে. তেহট্টে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ২০৭ নং বুথের এলাকা৷ কালীগঞ্জে সিপিএম কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ কৃষ্ণনগর পুরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ যদিও বিজেপির দাবি এই গ্রেফতার অন্যায়৷

এদিকে নদিয়া জেলা তথ্য আধিকারিকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৯.৫২ শতাংশ আর রানাঘাট কেন্দ্রে ৮০.৪৬ শতাংশ৷ রানাঘাট কেন্দ্রে জোর লড়াই বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের ডা. মুকুটমণি অধিকারীর৷ সিপিএম বলছে, লড়াইটা ত্রিমুখী৷ এখানে সিপিএমের প্রতীকে লড়ছেন বাম আমলের প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস৷ রানাঘাট লোকসভায় আবার আরেক নির্দল প্রার্থী জগন্নাথ সরকার হিন্দু মহাসভার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন৷ বিজেপি যুবমোর্চার নামে পোস্টার পড়েছে—ঐ নির্দলকে ভোট দিলে গুলি খেতে হবে৷ যুবমোর্চা আবার তৃণমূলের ঘাড়ে পোস্টার বিতর্কের দায় চাপায়৷ রানাঘাট লোকসভার অধীন শান্তিপুরে আবার একজন-দুজন নয়, নয় জনের নামের পরিবর্তে অন্য নয় জনের ভোটার লিস্টে নাম ঢুকে যায়৷ নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যে লিস্ট পাঠানো হয় তাতে তাদের নাম ছিল না৷ ঘটনা শান্তিপুর ৯ নং ওয়ার্ডের ১১৯নং বুথে৷ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে বাদ পড়া ঐ নয় জন ভোট দেন৷ দুই লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক আধিপত্য চোখে পড়ল ৷