• facebook
  • twitter
Saturday, 19 October, 2024

আমরা কি ক্রমশ এক অন্ধকার যুগের দিকে এগিয়ে চলেছি?

বরুণ দাস ‘ভবিষ্যতে কেউ বলবে না সেই যুগটা ছিল অন্ধকারের যুগ / শুধু জিজ্ঞেস করবে কবিরা নীরব ছিল কেন?’ — ব্রেথট নিবন্ধের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো ভ্রূ কুচকে বলবেন, এই কলমচি কি কেবল সমাজ-সংসারের নেতিবাচক দিকেই দৃষ্টি রাখেন? ইতিবাচক কোনও কিছুই তার চোখে পড়ে না? সরকারের বিরোধিতার জন্যেই কলম ধরেন? যদি তাই-ই হয়, তো আমাদের

বরুণ দাস

‘ভবিষ্যতে কেউ বলবে না সেই যুগটা ছিল অন্ধকারের যুগ / শুধু জিজ্ঞেস করবে কবিরা নীরব ছিল কেন?’ — ব্রেথট
নিবন্ধের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো ভ্রূ কুচকে বলবেন, এই কলমচি কি কেবল সমাজ-সংসারের নেতিবাচক দিকেই দৃষ্টি রাখেন? ইতিবাচক কোনও কিছুই তার চোখে পড়ে না? সরকারের বিরোধিতার জন্যেই কলম ধরেন? যদি তাই-ই হয়, তো আমাদের সার্বিক অনুরোধ— কৃত্রিম ঠুলি খুলে একবার নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকান৷ তাহলেই দেখতে পারবেন ইতিবাচক দিকগুলোও৷ সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা কেবল কারণে-অকারণে তীব্র সমালোচনা করা নয়, প্রয়োজনে সমাজ-সংসারের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রশংসাও৷
তাঁদের মতে, ‘নিরপেক্ষ’ বলে একটা কথা আছে, যা সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে প্রত্যাশা করাটা মোটেই অন্যায় নয়৷ কিন্ত্ত এখনকার কর্পোরেট চালিত সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকরা তা ভুলে গেছেন৷ তাই শুধু খারাপ দিকগুলোর দিকেই তাঁদের দৃষ্টি৷ ভালো কিছু তাঁদের নজরে পড়ে না৷ এ বড় সুখের সময় নয়৷ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভর এই নক্কারজনক ভূমিকা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ আমাদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধে মুখর হওয়া দরকার৷ মিডিয়ার অন্ধ দাসত্ব, মিডিয়ার তাণ্ডব বন্ধ হোক৷

আপাতদৃষ্টিতে ‘অনেকের কথাগুলো’ হয়তো আমাদের অনেকের কাছেই ঠিক মনে হবে৷ সত্যিই তো, সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা কেবল কারণে-অকারণে সমালোচনা করা নয়, সমাজ-সংসারের গঠনমূলক ও ইতিবাচক কাজের প্রশংসাও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ ইতিবাচক কাজের প্রশংসাকে এড়িয়ে গেলে চলে না৷ তাতে নিরপেক্ষতার অভাব মনে হবে৷ এই অভাব সংবাদমাধ্যমের কাছে আশা করা যায় না৷ সত্যিই তো স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকরা কেনই বা মিডিয়ার দাসত্ব, মিডিয়ার পক্ষপাতিত্ব মেনে নেবেন?
সাংবাদিকদের কাজের মধ্যে ‘এথিকস’ বলে একটা কথা আছে৷ এটার অভাব কোনওভাবেই কাম্য নয়৷ কারণ সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় যে কোনও পদে আর পাঁচটা চাকরির মতো সাংবাদিকতার চাকরি মোটেই এক নয়৷ সাংবাদিকদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে৷ একই কথা চিকিৎসক, শিক্ষক ও সেবিকা (নার্স)র চাকরির ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য৷ সামজিক দায়বদ্ধতা থেকে এঁরা কোনওভাবেই দূরে থাকতে পারেন না৷ চাকরি বা পেশার মধ্যে ওই দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার বা যথাযথ মান্যতা দিতেই হয়৷
তা না হলে সমাজ-সংসারে সমালোচনার ঝড় উঠবেই এবং বলতে দ্বিধা নেই, সুস্থ গণতন্ত্রের সামগ্রিক স্বার্থে ঝড় ওঠাটা দরকারও৷ যে ঝড় সমাজ-সংসারের কাঙ্খিত কল্যাণ ডেকে আনে, তকে আমাদের স্বাগত জানাতেই হয়৷ এই অপ্রিয় সত্যকে কোনওভাবেই হয়তো অস্বীকার করা যায় না৷ যিনি বা যাঁরা এই আপ্রিয় সত্যকে অস্বীকার করবেন, তিনি বা তাঁরা ‘সত্যেরে সহজে মেনে’ নিতে নিতান্তই অপারগ৷ তাঁরা কীভাবে সমাজ-সংসারের হিতসাধনে নিজেদেরকে ব্রতী করবেন ওই তিন মহতি পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকে?

শুধু সাংবাদিকতাই বা কেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য স্তরেও যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদেরও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের বরাদ্দকৃত কাজটুকু করে যেতে হবে৷ একই সঙ্গে যাবতীয় সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে হবে৷ প্রতিবাদে-প্রতিরোধে নিজেদেরকে শামিল করতে হবে৷ কারণ যে সমাজ-সংসার তথা রাষ্ট্রে আমরা বাস করি, সেই সমাজ-সংসার তথা রাষ্ট্রের ওপর আমাদের সবারই একটা অলিখিত দায়দায়িত্ব আছে৷ সেই দায়দায়িত্ব কোনওভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না৷ যাওয়া অনুচিতও বটে৷
যাঁরা সচেতনভাবে তা এড়িয়ে যেতে চান, তাঁরা কখনও সামাজিক নন৷ সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতাকে তাঁরা অস্বীকার করতে চান৷ সমাজে থেকে সামাজিক বা রাষ্ট্রীক দায়বদ্ধতাকে কখনও অস্বীকার করা যায় না৷ আমাদের সবকিছু থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখার গড়পরতা মানসিকতা, অর্থাৎ ‘যা হচ্ছে তা হোক না, তাতে আমার কী?’ সবকিছু থেকে এই গা বাঁচিয়ে চলার অসামাজিক এবং অরাষ্ট্রীক মনোভাব মোটেই কাম্য নয়৷ কারণ সমাজের ভালোমন্দের সঙ্গে আমাদের সবারই সার্বিক ভালোমন্দ জড়িয়ে আছে৷

সামাজিক সুস্থতা, সামাজিক সাম্যতা, সামাজিক ন্যায়পরায়নতা ও ভারসাম্য— আমাদের সবারই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ বেঁচে থাকার অন্যতম মানদণ্ডও বটে৷ একথা রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য৷ এই সারসত্যকে কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ যিনি বা যাঁরা অস্বীকার করেন, তিনি বা তাঁরা সামাজিক নন৷ সমাজবন্ধুও নন৷ সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার নৈতিক অধিকারও তাঁদের নেই৷ যদিও তা নিয়ে কেই বা মাথা ঘামাচ্ছেন৷ যে যাঁর নিজের মতো চলতেই অভ্যস্ত৷
ফলে সব দায়দায়িত্ব গিয়ে বর্তায় ওই সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ঘাড়ে৷ রবিঠাকুরের কাব্য কথায়, ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’-এর মতো৷ তাঁরা সমালোচনা করলেও দোষ, প্রশংসা করলেও দোষ৷ সমালোচনা করলে সরকারের মাথারা বলবেন গভীর চক্রান্ত কিংবা ষড়যন্ত্র৷ আর প্রশংসা করলে বাম-ঘেঁষা অতিবোদ্ধাজনেরা বলবেন, এ নির্ঘাৎ চাটুকার৷ গদি মিডিয়ার দালাল৷ তা না হলে এমন লেখা লেখে৷ সাংবাাদিক তো নয়, এরা এক-একটা গণশত্রু৷ এদেরকে মশাই গুলি করে মারা উচিত৷

এ যেন সেই ‘শাঁখের করাত’৷ যেতেও কাটবে, আসতেও কাটবে৷ কোনদিকে পা ফেলবেন আপাত-নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম এবং তার বেতনভূক সাংবাদিকরা? এই উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে আমরা গদি মিডিয়ার ভূমিকা আলোচনার মধ্যে আনছি না৷ যাঁরা কিছুটা নিরপেক্ষভাবে চলতে চান, তাঁদের সমস্যার কথাই উল্লেখ করছি৷ আমার পছন্দের কথা না বললেই আপনি গদ্দার৷ আপনি বিশ্বাসঘাতক৷ আপনি শাসকদলের দালাল৷ আপনি বানিয়াদের চর৷ বিভিন্নভাবে আপনাকে দেগে দেওয়ার নোংরা চেষ্টা করা হবে৷

এমন কি, আপনাকে বয়কট করার যাবতীয় পদক্ষেপও নেওয়া হবে৷ কিন্ত্ত মুশকিল হলো এই যে, যাঁরা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সঠিক কথা বলার চেষ্টা করেন, সত্য ঘটনা প্রকাশ করার জন্য উদগ্রীব হন, তাঁরা শাসকদল, সরকার ও অতি বোদ্ধাজন— উভয়ের কাছেই সমান ব্রাত্য৷ সত্যের পক্ষে থাকতে গেলে কেউ আপনাকে পছন্দের তালিকায় রাখবেন না একথা বলাই বাহুল্য৷ কেন রাখবেন না? কারণ, আপনার লেখায় বা প্রতিবেদনে কখনও একপক্ষ খুশি তো অন্যপক্ষ অখুশি হবেনই৷ দু’পক্ষ কখনও খুশি হতে পারেন না৷
সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে এই রূঢ় ও কঠিন বাস্তবতাকে আপনি কীভাবে অস্বীকার করবেন? সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাজের পরিসর ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে৷ হুমকি-হেনস্থা, এমনকি, প্রাণে মেরে ফেলার শুধু চেষ্টাই নয়, মেরে ফেলাও হচ্ছে৷ সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ এই ভয়ানক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অনেকে কাজ করে চলেছেন৷ কিন্ত্ত এদের সামর্থ্য তথা প্রচার কম বলে সকলের কাছে হয়তো সেভাবে পৌঁছচ্ছে না৷

এবার আসা যাক স্বনামধন্য নাট্যকার বোর্টোল্ট ব্রেখটের কথায়৷ তিনি কবিদের ভূমিকা নিয়ে যথার্থ মন্তব্য করেছেন৷ তবে শুধু কবিরাই বা কেন, সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সবারই এ ব্যাপারে দায়বদ্ধতা আছে বলে আমাদের বিশ্বাস৷ তারাই তো আসলে এই সমাজের দর্পণ৷ তাদের সৃষ্টি বা নির্মাণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠবে সমাজের যাবতীয় অসঙ্গতি৷ তাদের চিন্তা-চেতনার ব্যাপ্তি, তাদের দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা আমাদের মতো সাধারণ পাঁচ-পাবলিকের চেয়ে অনেক বেশি৷ তারা আমাদের ভরসা৷
সেই ভরসা স্থল যদি চুপটি মেরে বসে থাকেন, সবকিছু দেখেও যদি না দেখার ভান করে থাকেন, কোনও প্রলোভনের কাছে যদি নিজেদেরকে অকাতরে বিলিয়ে দেন, অর্থ কিংবা ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেন, তো আমরা অন্ধকার অতিক্রম করে আলোর পথে এগুবো কীভাবে? কাজেই কবি সহ সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি জগতের সবারই সারস্বত দায়িত্ব সমাজের অন্যদের পথ দেখানোর কাজটি সঠিকভাবে করা৷ জনস্বার্থ বিরোধী স্বৈরাচারী সরকারের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলানো নয়, কিংবা সরকারি রক্ষীদের নিয়ে নিজেকে নিরাপদে রাখাও নয়৷

জনগণকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব তাঁদেরও৷ এক ভয়ঙ্কর অস্থির, হিংস্র বৈরিতা-বিদ্বেষের বিষকুম্ভ নিয়ে যেন গোটা দেশটা দাঁড়িয়ে আছে৷ নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম ও তার সাংবাদিক, যুক্তিবাদী সমাজ আন্দোলনের কর্মী, পিছিয়ে পড়া মানুষের হয়ে লড়াকু সমাজকর্মী, গণ-আন্দোলনে পা মেলানো প্রকৃত বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও তার কর্মী, এককথায় দেশের প্রতিবাদী কণ্ঠকে আগ্রাসী আক্রমণের সামনে পড়তে হচ্ছে৷ কী কেন্দ্র, কী রাজ্য, ঝান্ডার রং আলাদা হলেও সর্বত্র ক্ষমতাসীনেরা একই চেহারা-চরিত্র নিয়ে উপস্থিত৷

অথচ এরা সবাই কিন্ত্ত গণতন্ত্রের পথ বেয়েই শাসন ক্ষমতায় এসেছেন এবং কথায় কথায় গণতন্ত্রের জন্য কুম্ভিরাশ্রুও ফেলেন৷ জনগণের স্বার্থের কথা বলেন৷ সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য বলেন৷ দেশের অখণ্ডতা নিয়ে নিজেদের উদ্বিগ্নতার কথা বলেন৷ প্রতিবেশী দেশ সম্বন্ধে অহেতুক কটু মন্তব্য করেন৷ এমনকি, জাতীয়তাবাদ নিয়ে অকারণ উগ্রতা প্রকাশেও পিছপা নন৷ অথচ ‘দেশের স্বার্থে’ এরা দেশের প্রান্তিক মানুষকেই বে-নাগরিক করে দিতে উৎসাহ বোধ করেন৷ সেই উৎসাহকে বাস্তবায়িত করতে অমানবিক হয়ে ওঠেন৷

গণতন্ত্রের আড়ালে দেশের ক্ষমতাবানরা এক তালিবানি পরিস্থিতির সামনে এনে দাঁড় করেছেন দেশের মাননীয় নির্বাচকমণ্ডলী তথা নিরাপরাধ জনগণকে৷ এমন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিকেই ব্রেখট ‘অন্ধকারের যুগ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং কবিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তবে শুধু কবিদের ঘাড়ে দায়িত্ব না চাপিয়ে আমরা বরং সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সবাইকেই এ ব্যাপারে দায়বদ্ধতা আছে মনে করি৷ এমনকি, দেশের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদেরও সমান দায়িত্ব আছে এ ব্যাপারে৷

গণতন্ত্রের ঘেরাটোপে দেশকে ক্রমশ ফ্যাসিবাদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ কেউ ঝুঁকছেন মনুসংহিতার দিকে, কেউ ঝুঁকছেন শরিয়তের দিকে৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, বিজ্ঞানীরা ছুটছেন অন্য গ্রহের সন্ধানে অথচ আমাদের মধ্যে পুরান আর কোরান নিয়ে আগ্রহ ও মাতন ক্রমশ বেড়েই চলছে৷ এই পরস্পর বিরোধী বৈপিরীত্য নিয়ে দেশের অগ্রগতি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েই আমাদের প্রশ্ন৷ জানি এই অপ্রিয় প্রশ্ন তুললে প্রশ্নকারীকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে হয়তো ইউএপিএ আইনে কারাগারে নিক্ষেপ করা হবে৷