• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কেজরিওয়ালের বাডি়তে সাংসদ মালিওয়ালকে মারধরে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর পিএ

দিল্লি, ১৩ মে– খোদ আপ মুখমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়িতে হেনস্থার শিকার তারই দলের সাংসদ৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে তাঁরই ব্যক্তিগত সহকারীর হাতে আক্রান্ত হলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সদস্য স্বাতী মালিওয়াল৷ সোমবার সকালে আপের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল নিজে হেনস্তার অভিযোগ জানিয়ে ফোন করে পুলিশ ডাকেন৷ স্বাতীর অভিযোগ, কেজরিওয়ালের পিএ

দিল্লি, ১৩ মে– খোদ আপ মুখমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়িতে হেনস্থার শিকার তারই দলের সাংসদ৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে তাঁরই ব্যক্তিগত সহকারীর হাতে আক্রান্ত হলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সদস্য স্বাতী মালিওয়াল৷ সোমবার সকালে আপের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল নিজে হেনস্তার অভিযোগ জানিয়ে ফোন করে পুলিশ ডাকেন৷ স্বাতীর অভিযোগ, কেজরিওয়ালের পিএ বিভাব কুমার মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনের ভিতরেই তাঁকে মারধর করেন৷ তাঁকে হেনস্তার পরেই তিনি ফোনে পুলিশ ডাকেন৷ তখন টহলদারি একটি ভ্যান মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকে৷ স্বাতী মালিওয়াল দুটি পিসিআর কল করেছিলেন বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে৷ ফোনে তিনি পুলিশের কাছে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পিএ মারধর করেছেন বলে সাহায্য চান৷
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে৷ যদিও এই ফোনের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাতী নিজেও৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ একটি ফোন আসে দিল্লি পুলিশের কন্ট্রোলরুমে৷ সেখানে ফোনের ওপারে থাকা মহিলা জানান, তিনি স্বাতী মালিওয়াল বলছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার আপ্তসহায়ক তাঁকে মারধর করছেন৷ এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি ফোন আসে পুলিশের কাছে যেখানে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর আপ্তসহায়ক মারধর করেছেন তাঁকে৷ এমন অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ৷ পুলিশের দাবি, তাঁদের সামনেও স্বাতী স্বীকার করেন তাঁকে মারধর করা হয়েছে৷ যদিও সেই সময় পুলিশ তাঁকে চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করার কথা বলা হলে তিনি যেতে রাজি হননি৷ এবং পুলিশকে জানান, এ বিষয়ে পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন তিনি৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে খোদ মহিলা কমিশনের প্রধান সুরক্ষিত নন, সেই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র লেখেন, ‘আজ সকালে কেজরির বাড়িতে স্বাতী কেন পুলিশ ডাকলেন? তাহলে কি তাঁর বাড়িতে স্বাতীকে মারধর করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক? এই বিষয়ে কি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় কোনও বিবৃতি দেবেন? ঈশ্বর করুন এই খবর যেন মিথ্যা প্রমাণ হয়৷’ অন্যদিকে, এদিন মারধরের ঘটনার পর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করে একটি এক্সবার্তায় লিখেছেন, স্বাতী মালিওয়াল যে অভিযোগ তুলেছেন সে বিষয়ে মনে রাখতে হবে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ শুধু তাই গ্রেফতারি এবং জামিনে মুক্তির আগে পর্যন্ত দেশেই ছিলেন না তিনি৷
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মারধর তথা পুলিশ ডাকার প্রশ্নে কোন কিছুই বলতে নারাজ আপ মুখ্যমন্ত্রী দফতর৷ বহুবার সাংবাদিকদের তরফে কেজরি কিংবা তাঁর আপ্তসহায়ককে ফোন করা হলেও তারা ফোন তোলেন নি৷
উল্লেখ্য, দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মালিওয়াল এ মাসের গোড়ার দিকে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন৷ লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা কমিশনের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই করার পরই সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মালিওয়াল৷ কমিশনের ৯০ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জন হলেন স্থায়ী কর্মচারী৷ বাদবাকি সকলকে ছাঁটাই করলে মহিলা কমিশন কীভাবে চলবে, প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাতী৷ কিন্ত্ত, দিল্লির গভর্নরের দফতর জানায়, দুর্নীতি মাটি চাপা দিতে কৌশল নিচ্ছেন মালিওয়াল৷ কারণ গভর্নরের অনুমোদনহীন এই নিয়োগগুলি হয়েছিল মালিওয়ালের সময়েই৷