সােমবার জনসংযােগ বৃদ্ধিতে এবং মানুষ যেন সরাসরি তাদের সমস্যার কারণ জানাতে পারেন, তা নিয়ে ‘দিদিকে বলাে’ একটি নতুন পদ্ধতির কথা ঘােষণা করেছেন। আর এর পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সােশ্যাল সাইটে পাল্টা প্রচারে নামল সিপিএম।
তৃণমূলের ‘দিদিকে বলাে’র সঙ্গে টক্কর দিতে ‘দিদিকেই বলছি’ পাল্টা প্রশ্ন তৈরি করেছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতাদের দাবি, গত আট বছরে রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে যে সমস্ত প্রশ্ন করতে পারেননি, সেই প্রশ্নগুলি তারা ‘দিদিকে বলছি’-এর মাধ্যমে তুলে ধরতে চান। এই বিষয়ে একাধিক প্রশ্নও দলীয় মুখপত্রে তুলেছে।
তাদের প্রশ্ন ২০১১ সালে সরকারে আসার পর ২০০ দিনের মধ্যে কী করা হবে তার ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি হয় , সেখানে বলা হয় রাজ্যজুড়ে শিল্পনগরী শৃঙ্খল গড়ে তােলা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা পুনরায় চালু হবে। ৮ বছরে ফল উল্টো। ৪৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ কেন?
দ্বিতীয়ত বছরে ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের কী হল? এসএসসি থেকে টেট লিস্টে নাম উঠছে মন্ত্রী কন্যা থেকে নেতার আত্মীয়দের। কাজ নেই, কাজ কোথায় বলুন।
তৃতীয়ত, আদালত থেকে রাজ্যপাল সবার গলাতেই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে উদ্বেগের সুর কেন। পুলিশকে টেবিলের তলায় লুকোতে হয়? কেন এ রাজ্যে নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি? কেন ৮ বছরে ২১৮ জন বাম নেতা-কর্মীকে খুন হতে হল?
এছাড়াও, ২১ জুলাই যে গণতন্ত্র ফেরানাের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গণতন্ত্র ফেরানাের দায়িত্ব কার? ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা হল কেন? কেন বামেদের মনােনয়ন জমা দিতে বাধা সহ সেখানে ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০১৯-২০ সালের মাঝামাঝিতে তা বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা, তাও প্রশ্নে তােলা হয়।
সিপিএমের প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রীকে হােয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এই সব প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন বলে জানা গেছে।