নিজস্ব প্রতিনিধি— অবশেষে উত্তর কলকাতার মানিকতলা বিধানসভার এলাকাবাসীদের প্রায় তিন বছর বিধায়ক না থাকার ‘যন্ত্রণা’ কাটছে৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি ভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ অবশেষে কাটল মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনের জট৷ গত বিধানসভার ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহার করার আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাকারীর আর্জি মেনে মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দেন৷ রাজ্যে যে হাতেগোনা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যাঁরা টানা বিধায়ক হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডে৷ যিনি টানা ৯ বার বিধায়ক ছিলেন উত্তর কলকাতা এলাকায়৷
জানা গিয়েছে, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃতু্যর পর ওই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয়৷ ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃতু্যর কারণে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে সেই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরির দিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা বাধ্যতামূলক৷ কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে৷