• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আজ শুরু তৃতীয় দফার ভোট, ভোটদানের হার বাড়াতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন

দিল্লি, ৬ মে— লোকসভা ভোটের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা সম্পন্ন হয়েছে৷ আজ  ৭ মে,  মঙ্গলবার  শুরু লোকসভা তৃতীয় দফার ভোট৷ প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটে গত বছরের তুলনায় ভোট কম পড়ায় ভোটারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ মঙ্গলবার যে ৯৪ আসনে ভোটগ্রহণ হবে, সেই সব আসনের ভোটারদের কাছে এসএমএস এবং হোয়াটস্আপে ভোট দিতে

দিল্লি, ৬ মে— লোকসভা ভোটের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা সম্পন্ন হয়েছে৷ আজ  ৭ মে,  মঙ্গলবার  শুরু লোকসভা তৃতীয় দফার ভোট৷ প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটে গত বছরের তুলনায় ভোট কম পড়ায় ভোটারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ মঙ্গলবার যে ৯৪ আসনে ভোটগ্রহণ হবে, সেই সব আসনের ভোটারদের কাছে এসএমএস এবং হোয়াটস্আপে ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছে কমিশন৷ কমিশনের প্রতিনিধিরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার স্লিপ দেওয়ার সময় ভোটারদের কাছে বুথে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন৷

লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটে দেশের ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হবে৷ তৃতীয় দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, গোয়া, ছত্তিসগড়, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নগর হাভেলি এবং দমনে ভোটগ্রহণ হবে৷ তৃতীয় দফায় গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রহ্লাদ যোশী, দিগ্বিজয় সিং, শিবরাজ সিং চৌহান, এনসিপি নেত্রী তথা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল এবং বাংলায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা দলের পলিটবু্যরো সদস্য মহম্মদ সেলিম প্রমুখ৷

আগের দুই দফায় ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে তীব্র তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছে নির্বাচন কমিশন৷ যদিও কমিশনের এই কারণের সঙ্গে সহমত নয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি৷ ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে বিভিন্ন কারণে ভোট দিতে যাননি ভোটাররা৷ গেরুয়া শিবিরের মতে, তাঁদের ভোটারদের একংশ মনে করছে দল আবার ক্ষমতায় আসছে৷ বিজেপি চারশো আসন পাবে এমনটাও মনে করছেন তাঁরা৷ অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিতে ভোগায় এমন ভোটারদের অনেকেই ভোট দিতে যাননি৷ আবার বিপরীতে বিরোধীরা এবারও ক্ষমতায় আসছে না ধরে নিয়ে বিজেপির প্রতিপক্ষ শিবিরের অনেকেই ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেছেন৷

তবে কারণ যাই হোক, অতীত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কম ভোট পড়া মানেই ফল সরকারের বিপক্ষে যাবে তা নয়৷ এমন ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে শাসক দলের ফল ভালো হয়েছে৷ এই ব্যাপারে উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৬২ সালের লোকসভা ভোটার কথা৷ সেবার ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৫.৪ শতাংশ৷ ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, কংগ্রেস বিপুল আসনে জিতেছে৷ আবার ১৯৭৭ সালে ফল হয় উল্টো৷ সেবার ভোট পড়েছিল ৬০.৫ শতাংশ৷ ২৯৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে জনতা দল৷ অন্যদিকে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েও কংগ্রেস পে মাত্র ১৫৪ আসন৷ রায়বেরেলি আসনে হেরে যান স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধি৷ আবার ১৯৮৪ সালে ভোটে ছিল বিপরীত হাওয়া৷ ইন্দিরা গান্ধি নিহত হওয়ার পর সেই নির্বাচনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বিরোধীরা৷ বাংলায় কংগ্রেস জেতে ১৬টি আসনে৷ যাদবপুর কেন্দ্রে সিপিএসের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজীব গান্ধি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৮৪-র ভোটে কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসনই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ের রেকর্ড দেশে৷ কংগ্রেস সেবার লোকসভার ৫১৪ আসনের ৪০৪ টিতে জয়লাভ করে৷

ভোটদানের হারের উপর শুধু হারজিত নয়, জাতীয় দলের তকমা থাকবে কিনা তাও নির্ভর করে৷ বিশেষত সিপিএম, সিপিআই, বিএসপি-র মতো দলগুলির জন্য হারজিত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যাও৷