সাধারণ বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে বিশেষকরে যদি সবে স্কুলে যেতে শিখেছে, স্কুল থেকে উকুন নিয়ে বাড়ি ফিরতেই পারে সে৷ ব্যাস বিরক্তিকর সমস্যার শুরু৷ মাথায় উকুন হলে যখন তখন চুলকায়, অস্বস্তি লাগে৷ তারপর ছোট মাথা থেকে বাড়ির প্রায় সবার মাথায় সংসার বিস্তার লাভ করে উকুনের৷ পুরুষের তুলনায় নারীর চুলের ভাঁজে উকুন বেশি দেখা যায়৷ তবে সামান্য কিছু যত্নে মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে৷
চুলের যত্ন নিয়ে, উকুননাশক সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করেও অনেক সময় উকুনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না৷ তবে উকুন তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে৷ আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে-
নিমপাতা
নিমপাতা প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ চিকিৎসা, ইউনানি, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়৷ বহুগুণের এই নিমে আছে- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, এনালেজিক, অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিমাইক্রবাল, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং রক্ত বিশুদ্ধকরণ উপাদান৷ উকুন তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতা৷
রসুনের ব্যবহার
১০ কোয়া রসুন নিন৷ ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন৷ এর সঙ্গে ২ চা চামচ লেবুর রস মেশান৷ পেস্টের মতো তৈরি করে মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন৷ চুলের গোড়ার কোনো অংশ যেন বাদ না যায়! এভাবে ৩০ মিনিট পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন৷ এর পর হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে নিন৷ সপ্তাহে তিন দিন এই পদ্ধতিটি কাজে লাগালে উকুনের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে৷
পেঁয়াজের রস
উকুন তাড়াতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন৷
পেঁয়াজের রস মাথায় লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন৷ চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগাবেন৷ কিছুক্ষণ চুল ঢেকে রেখে তার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ পরে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচডে় নিন এবং উকুন দূর করুন৷ সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করুন৷
লেবুর রস
লেবু প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক, যা উকুন দূর করবে৷ লেবুর রস বের করে তা সরাসরি মাথায় লাগান৷ এটি এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন৷ এর পর চিরুনির সাহায্যে উকুন দূর করুন৷ এ পদ্ধতিটি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন৷
লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ লবণ ও ভিনেগার নিন৷ লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট তৈরি করে এটি মাথায় লাগান৷ এবার শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন৷ দুই ঘণ্টা এভাবে রেখে দিন৷ এর পর চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন৷ নিয়মিত চুল আঁচড়ান৷ এর পর শ্যাম্পু করে নিন৷ দেখবেন উকুন দূর হয়ে গেছে৷
