রাঁচি, ৬ মে— লোকসভা ভোটের মধ্যে আবার বড় সাফল্য পেল ইডি৷ ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্ত সহায়ক এবং তাঁর পরিচারকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ আপ্ত সহায়কের বাডি় থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঞ্জীব লাল নামে ওই আপ্ত সহায়ককে৷ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় এদিন অভিযান চালায় তদন্তকারী দল৷ আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমে ইডি এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করল৷
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে রাঁচির একাধিক জায়গায় অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা৷ নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের বাড়িতে৷ অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি৷ ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগির আলমের আপ্ত সহায়ক সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাডি়তেও অভিযান চালানো হয়৷ ইডি সূত্রের খবর, পরিচারকের বাডি় থেকে ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ আর্থিক তছরুপ মামলার সঙ্গে এর যোগ রয়েছে বলে ইডির অনুমান৷ ইডির দাবি, গ্রামোন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের আর্থিক তছরুপ মামলার সঙ্গে সঞ্জীবের নাম জডি়য়ে পডে়৷ সেই যোগসূত্র ধরেই সোমবার সকালে অভিযান শুরু করেন ইডির আধিকারিকেরা৷
ইডি সূত্রে খবর, নোট গণনার জন্য মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাঁদের ধারণা অর্থের পরিমাণ ৩০ কোটি হয়ে যেতে পারে৷ কিছু গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ গত বছর আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের নাম উঠে আসে৷ ঘটনায় রাঁচি-সহ জামশেদপুর, দিল্লি, বিহারের একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়৷ উপযুক্ত তথ্য প্রমান পেয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ ইডির দাবি, এই মামলার সঙ্গে জডি়ত রয়েছেন সঞ্জীবও৷ তাঁর বাডি় থেকে নগদ টাকা-সহ একটি পেন ড্রাইভও উদ্ধার করা হয়েছে৷ ইডির আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও নাকি টাকার লেনদেন চলত সঞ্জীবের৷
লোকসভা ভোটের মাঝে খোদ মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাডি় থেকে এত নগদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে এই বিষয়ে কোন সরকারি তথ্য ছিল না৷ আমি টিভি দেখছিলাম৷ সেখান থেকেই খবর পাই৷ ‘ কিন্ত্ত ভোটের মাঝে এত টাকা উদ্ধারে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এত নগদ নির্বাচনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল? এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগির আলমের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে ইডি৷