দিল্লি, ৬ মে – ফের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রাহুল গান্ধি৷ ‘যোগ্যতার বিচারে নয়, আনুগত্যের বিচারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে’, এমনই অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধি৷ এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানান রাহুল৷ সেই মন্তব্যের জেরেই লোকসভা ভোটের মুখে তাই আবার বিতর্কের সৃষ্টি হল৷ এর জেরে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দেশের বড় ও নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও শিক্ষাবিদরা৷ উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে রাহুল যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার তীব্র প্রতিবাদ করে রাহুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ প্রতিবাদ হিসেবে খোলা চিঠি লিখলেন প্রায় ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা৷
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ঠিক কী বলেছিলেন রাহুল গান্ধি? কয়েক মাস আগে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখন মেধার ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে না৷ নির্দিষ্ট সংস্থার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে৷ সমস্ত উপাচার্যই একই প্রতিষ্ঠানের এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলি বিজেপির নিয়ন্ত্রণে৷
রাহুল গান্ধির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার প্রায় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অন্যান্য শিক্ষাবিদরা সম্মিলিতভাবে বিবৃতি দিয়ে রাহুল গান্ধির এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, মেধার ভিত্তিতে স্বচ্ছ উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে৷ উপাচার্যদের দাবি, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও নৈতিকতার দিকে তাঁদের নজর রয়েছে, তাঁরা যত্নসহকারে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন৷ যদি সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী মান নির্ধারণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থানগতভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে৷ তাঁর বলেন, রাহুলের দাবি শুধু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তাই নয়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি অপমানজনক৷
উপাচার্য এবং শিক্ষাবিদদের ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘ভোটের মুখে রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধি৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷’ ওই বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন, ১৮০ জন উপাচার্য-সহ সঙ্গীত, নাট্য আকাদেমি, সাহিত্য আকাদেমি, এনসিআইআরটি, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, এআইসিটিই, ইউজিসির প্রধানরা৷