• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের দগ্ধ দিনগুলিতে ভালো রাখতে ঝড়খালিতে অভিনব ব্যবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ৪ মে— বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে সুন্দরবন৷ প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্র্যের অফুরন্ত ভান্ডার তার বুকের গভীরে৷ প্রকৃতির সুকঠিন প্রাচীর, লোনা জলের ধারে ধারালো শুল শিকড় ছডি়য়ে সবুজ ম্যানগ্রোভ বনানী৷ আরও কত শত গাছপালা৷ উদ্ভিদবিদ পরিবেশবিদরা ছাড়া ক’জন জানে তার খবর ও পরিবেশ রক্ষায় তাদের কী অসীম ভূমিকা৷ উথাল পাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ৪ মে— বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে সুন্দরবন৷ প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্র্যের অফুরন্ত ভান্ডার তার বুকের গভীরে৷ প্রকৃতির সুকঠিন প্রাচীর, লোনা জলের ধারে ধারালো শুল শিকড় ছডি়য়ে সবুজ ম্যানগ্রোভ বনানী৷ আরও কত শত গাছপালা৷ উদ্ভিদবিদ পরিবেশবিদরা ছাড়া ক’জন জানে তার খবর ও পরিবেশ রক্ষায় তাদের কী অসীম ভূমিকা৷ উথাল পাতাল ঢেউ, ধেয়ে আসা পরপর ঝড়, সব কিছুকে মাথায় নেয় ম্যানগ্রোভের প্রাচীর৷ আর এই প্রাচীর সুন্দরবনের ঘন সবুজ বনানী রক্ষার পাহারাদার জঙ্গলের ভয়ঙ্কর সুন্দর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷ এই কালো হলুদ ডোরা কাটা বাঘ অসুস্থ হলে, বৃদ্ধ হলে পেয়ে থাকে অসীম যত্ন৷ আর সে যত্নের পরশ দেন জঙ্গলকে ভালোবেসে বন্যপ্রাণ রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ বনাধিকারিকগণ৷

তপ্ত দাবদাহের দিনেও সুন্দরবনের বাঘ মামাদের ভালো রাখতে ঝড়খালির পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভাবনীয় ব্যবস্থা৷ ফি বছর যা থাকে, তাতো আছেই৷ তার সঙ্গে হয়েছে তিনটি বাঘের জন্য নতুন তিনটি বাথটব৷ তার মধ্যে শরীর শীতল রাখতে ঠান্ডা জল৷ আবার পাইপ দিয়ে জল ছিটিয়ে দু’বেলা স্নানও করানো হচ্ছে৷ বন্দি ওরা৷ চাইলেই তো সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে প্রকৃতির গডে় ওঠা পুকুর, সঙ্গে সবুজ গাছের শীতল ছায়াটি খুঁজে নিতে পারবে না৷ তাই সংবেদনশীল সরকারি আধিকারিকদের এমন ভাবনা৷ এছাড়াও বড় বড় পাত্রে রাখা হয়েছে মিষ্টি পানীয় জল৷ বিশাল বড় বড় স্ট্যান্ড ফ্যান৷ মাঝে মাঝেই জঙ্গলের রাজা তিন দক্ষিণ রায়কে খাওয়ানো হচ্ছে ওআরএস মেশানো জল, ভিটামিন সি ট্যাবলেট৷ অবশ্য খাবার মেনুতে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি৷ মাংস তাদের শরীরের জন্য বড্ড প্রয়োজন৷ নাহলে তাদের হুঙ্কারে প্রাণ কাঁপবে কেন৷ অবশ্য পেট ঠান্ডা রাখতে রেড মিটে অনীহা দেখলে কখনো দেশি মুরগি দেওয়া হচ্ছে৷ মোট কথা তিন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভালোই আছে এই দীর্ঘ দগ্ধ দিনে ঝড়খালির রেসকিউ সেন্টারে৷ মানুষের মমতায়৷