নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসাত, ৪ মে– উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে আসছে৷ তার আগে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বারাসাত পৌরসভার বিদ্যাসাগর মঞ্চে এক বিরাট কর্মীসম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো শনিবার৷ যুবকর্মীদের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয় এই কর্মীসম্মেলন৷ এদিনের এই সভার মধ্যমণি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার৷ এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসাত পৌরসভার পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, বারাসাত সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ নন্দি, বারাসাত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ মিত্র (বড়কা), তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সোহম পাল ও কৌশিক কর্মকার সহ উচ্চ নেতৃত্বরা৷ এদিন বিদ্যাসাগর সভাগৃহে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন৷ এদিন মঞ্চে প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা যায়৷
কাকলি সরব হন সিএএ আইনের বিরুদ্ধে৷ কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সিএএ- এর মাধ্যমে বিরোধী দল মানুষের নাগরিকত্ব কেডে় নেবে, এটা মানুষকে বোঝাতে হবে৷ যে ভোট দেয়, যে রেশন পায় সে আগে থেকেই এই দেশের একজন নাগরিক৷ তাহলে নতুন করে নাগরিকত্বের জন্য আমাকে কেন আবেদন জানাতে হবে? কোনো বাচ্চা প্রথম যখন স্কুলে ভর্তি হতে যায়, তখন সে আগে থেকে কোনো স্কুলে পডে় না বলেই স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ফর্ম ফিলআপ করে৷ আমি নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যদি ফর্ম ফিলআপ করি তাহলে এটাই প্রমাণ করে দেয় যে আমি নাগরিক নই৷ এটা মানুষদের বোঝাতে হবে, তাদের সচেতন করতে হবে৷ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার বিরোধীদের এই রুখে দিতে হবে৷”
এরপর প্রার্থী কাকলি লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রচারের সফলতা সম্পর্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের যিনি মুখ্য প্রচারক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জায়গায় জায়গায় মানুষের কাছে প্রতিদিন পৌঁছে যাচ্ছেন৷ জনজোয়ারকে সামনে রেখে নিজের বক্তব্য তিনি রাখছেন৷