• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ফেক ভিডিও, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা: শমিক

নিজস্ব প্রতিনিধি – শনির সকাল থেকেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েছে নয়া মোড়৷ এক ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে সন্দেশখালির যাবতীয় ঘটনা ‘পরিকল্পিত’৷ এই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয়েছে বঙ্গীয় রাজনীতি৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ “তৃণমূলকে বদনাম করতে গিয়ে বাংলাকে কালিমালিপ্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি – শনির সকাল থেকেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েছে নয়া মোড়৷ এক ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে সন্দেশখালির যাবতীয় ঘটনা ‘পরিকল্পিত’৷ এই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয়েছে বঙ্গীয় রাজনীতি৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ “তৃণমূলকে বদনাম করতে গিয়ে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করেছে বিজেপি”, এমন মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ এবার এইসব জল্পনার ইতি টানতেই মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য৷ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “ভিডিওটি ফেক৷ ডক্টরড৷ বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতেই এটি করা হয়েছে৷” তিনি আরও বলেন, “সন্দেশখালির পুরো ঘটনাটা কেই মিথ্যা প্রমাণ করে দেবেন একটা মিথ্যা ভিডিও প্রকাশ করে?”

বিজেপির নেতৃত্বদের ক্ষমা চাইতে বলে সন্দেশখালির মহিলারাদেরই অসম্মান করছে তৃণমূল, দাবি শমিকের৷ তিনি আরও বলেন, “এটি ব্যক্তিগত স্তরে কোনো কুৎসার প্রশ্ন নয়৷ যেই গঙ্গাধরকে দেখা যাচ্ছে ভিডিও তে, একটি অস্পষ্ট নীলাভ আলোর মধ্যে তিনি রয়েছেন৷ এটি আদতে কি প্রমান করে? সন্দেশখালির ঘটনা বাস্তবে জনরোষের প্রতিফলন৷ এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন ছিল না৷ সেখানে শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলন করেন নি, স্থানীয় মহিলারা বছরের পর বছর ধরে চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন৷”

উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছেন সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ৷ শমিকের ভাষায়, “সিঙ্গুরে সিপিএমের জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থানীয় মানুষ৷ তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আন্দোলন এক আলাদা মাত্রা পায়৷ তা বলে আন্দোলনটা নেত্রীর তৈরী করা ছিল না৷” এই ঘটনায় বহু মহিলারা প্রতিবাদে নেমেছেন, তাদের অনেকের বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা অর্থাৎ তারা তৃণমূলের সমর্থক কিন্ত্ত তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনরোষ দেখিয়েছেন, ব্যাখ্যা শমিকের৷ এই ঘটনার সাথে গঙ্গাধর কয়ালেরও কোনো যোগ ছিল না, স্পষ্ট দাবি শমিকের৷ উল্লেখ্য, গঙ্গাধর নিজেও বলছেন, তাঁর গলার আওয়াজকে বিকৃত করে নকল ভিডিও বানানো হয়েছে৷ এই ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছেন গঙ্গাধর৷