• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আমেঠি থেকে দাঁড়ালেন গান্ধি পরিবারের বিশ্বস্ত কিশোরীলাল শর্মা

দিল্লি, ৩ মে – শেষ পর্যন্ত আমেঠি থেকে প্রার্থী করা হল গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মাকে।দীর্ঘ ২৬ বছর পর আমেঠিতে গান্ধি পরিবারের বাইরে থেকে প্রার্থী করল কংগ্রেস । ১৯৯৬ সালে গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে প্রার্থী করেছিল হাত শিবির। সেবার জিতলেও দু’বছর পর  ১৯৯৮ সালে হেরে যান সতীশ। ১৯৯৯ থেকে টানা ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে আসছেন গান্ধিরা । 

দিল্লি, ৩ মে – শেষ পর্যন্ত আমেঠি থেকে প্রার্থী করা হল গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মাকে।দীর্ঘ ২৬ বছর পর আমেঠিতে গান্ধি পরিবারের বাইরে থেকে প্রার্থী করল কংগ্রেস । ১৯৯৬ সালে গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে প্রার্থী করেছিল হাত শিবির। সেবার জিতলেও দু’বছর পর  ১৯৯৮ সালে হেরে যান সতীশ। ১৯৯৯ থেকে টানা ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে আসছেন গান্ধিরা ।  ২০১৯ -এ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হেরে যান রাহুল গান্ধি। জল্পনা ছিল, এবার লোকসভা নির্বাচনে রাহুল আমেঠি থেকে দাঁড়াতে পারেন।
 
রাজীব গান্ধির আমলেই আমেঠী, রায়বেরেলি এবং সুলতানপুরের কংগ্রেস সংগঠনের দেখাশুনো দায়িত্বে ছিলেন কিশোরীলাল শর্মা। ১৯৯১-এ রাজীবের মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু সতীশ শর্মার জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল কিশোরীলালের। এর পরে ১৯৯৬-এর ভোটে আমেঠী থেকে সতীশ জিতলেও ১৯৯৮ সালে হেরে যান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার এক বছর পরে, ১৯৯৯-এর লোকসভা ভোটে আমেঠী থেকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে  পা রাখেন সোনিয়া গান্ধি। সোনিয়ার গান্ধির ভোট সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন কিশোরীলাল। পাঞ্জাবের বাসিন্দা কিশোরীলালকে ১৯৮৩ সালে আমেঠীতে নিয়ে আসেন রাজীব গান্ধি। তখন তিনি ওই কেন্দ্রের সাংসদ। যদিও আমেঠীর সঙ্গে গান্ধি পরিবারের  যোগাযোগ আরও আগের । 
লোকসভা ভোটের আবহে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আমেঠি এবং রায়বেরেলি দুটি আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানান, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এই দুই আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি।  বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে যায় এই নির্বাচনে আমেঠি এবং রায়বেরেলির ভোটার এবং দলীয় কর্মীরা শুধুমাত্র গান্ধি পরিবারের সদস্যকে চায়।
আমেঠি আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে বিদায়ী সাংসদ স্মৃতি ইরানিকে। ২০০৪ থেকে ২০১৯ -আমেঠি আসনে প্রার্থী হন রাহুল। ২০১-এ তিনি স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। স্মৃতি ইরানিকে টেক্কা  দিতে পরিবারের পুরনো, বিশ্বস্ত নেতার উপর আস্থা রাখলেন গান্ধি পরিবার।  ।
কিন্তু কংগ্রেসের ভিতরের খবর হল , আমেঠির লড়াই অনেক কঠিন। ইতিমধ্যেই স্মৃতি ইরানি সেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। সেখানে জিততে হলে প্রচারকে হাতিয়ার করতে হবে। গান্ধি পরিবারের সদস্যরা ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হলে দেশ জুড়ে প্রচারের সুযোগ থাকবে না। সেই জন্যই  কিশোরীলালকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁর হয়ে প্রচার চালাবে গোটা গান্ধি পরিবার। এদিকে প্রায় মাসখানেক আগে ফের আমেঠীর প্রার্থী হিসাবে স্মৃতির নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই সেখানে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য। হাতে ১৭ দিন সময় নিয়ে স্মৃতি ইরানিকে কি টক্কর দিতে পারবেন কিশোরীলাল ? সময় তার জবাব দেবে।