দিল্লির উপ রাজ্যপালের নির্দেশে পদক্ষেপ রাজ্য সরকার ও মহিলা কমিশনের
দিল্লি, ২ মে– দূর্নীতির তালিকায় এতদিন পশ্চিমবঙ্গকেই দেশে শীর্ষে আখ্যা দেওয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু এবার দিল্লিও পিছিয়ে নেই৷ আবগারি দূর্নীতি থেকে শুরু করে বাস কেনা, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ এবং জল বোর্ডের ঠিকাদারির পর এবার দিল্লির রাজ্য মহিলা কমিশনে কর্মচারি নিয়োগ, দূর্নীতি ধরা পড়েছে৷ এবার বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে দিল্লির রাজ্য মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মচারীর চাকরি চলে গেল৷ মহিলা কমিশনের একজন অতিরিক্ত অধিকর্তা সরকারি নির্দেশিকা জারি করে বৃহস্পতিবার থেকে ওই ২২৩ জনকে আর অফিসে না আসার নির্দেশ জারি করেছেন৷ জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় দিল্লির উপ রাজ্যপাল বিকে সাক্সেনা এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে রাজ্য সরকার এবং মহিলা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷
২২৩ জন মহিলার চাকরি গেলেও দিল্লির শাসকদল আপ কোনও কিছু করতেই অপরাগ৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় কি তাই ঠিক করে উঠতে পারছে না আম আদমি পার্টি৷ উপ রাজ্যপাল প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছিলেন৷ সেই মতো বুধবার রাতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ কাদের নির্দেশে এই নিয়োগ হয়েছিল, কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়, বেতনের পরিমাণ ঠিক করা হয় কোন মানদণ্ডে ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন উপ রাজ্যপাল৷ মনে করা হচ্ছে, সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর এই নিয়োগ নিয়েও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন তিনি৷
উল্লেখ্য, আম আদমি পার্টি সূত্রে খবর, এই নিয়োগ হয় আপ নেত্রী স্বাতী মালিওয়াল দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন থাকাকালে৷ এখন ওই পদে কেউ নেই৷ স্বাতীকে রাজ্যসভার সদস্য করেছে আপ৷ কেজরিওয়ালকে নিয়ে টানাপোডে়নের সময় আপের যে সাত-আটজন সাংসদের রহস্যজনক অন্তর্ধান নিয়ে দলে আলোচনা শুরু হয়েছে স্বাতী তাঁদের একজন৷ তদন্তে তাঁকেই প্রথম তলব করা হবে৷
এর আগে মদ বিক্রির নীতি, বাস কেনা, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ এবং জল বোর্ডের ঠিকাদারি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল৷ তারমধ্যে মদ বিক্রির নীতি নিয়ে মুখ্যসচিবের দেওয়া অনুসন্ধান রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন উপ রাজ্যপাল৷উপ রাজ্যপালের দফতর এবং সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মহিলা কমিশনের জন্য মোট ৪০জন কর্মচারী বরাদ্দ আছে৷ সেই কর্মচারীদের নিয়োগের জন্যও উপ রাজ্যপালের সম্মতি নিতে হয়৷ সেখানে ২২৩টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করে লোক নিয়োগ করা হয়েছে৷ অথচ, পদ তৈরির বিষয়ে সরকার এবং উপ রাজ্যপালকে কিছু জানানো হয়নি৷ এতগুলি পদের জন্য বেতন বাবদ অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারেও সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি৷