• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মাধ্যমিকে প্রথম দশে ৫৭ জন, প্রথম স্থানে কোচবিহারের চন্দ্রচূড়

কলকাতা, ২ মে: অবশেষে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। গত ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। আজ ২ মে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত। অর্থাৎ এবার ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ, বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। তাঁর

কলকাতা, ২ মে: অবশেষে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। গত ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। আজ ২ মে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত। অর্থাৎ এবার ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ, বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছরের পরীক্ষায় ৭টি কম্পালসরি বিষয় এবং ৪৭টি ঐচ্ছিক বিষয় ছিল। পাশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৬.৩১ শতাংশ। ২০২৩-এ এই হার ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১১ জন পরীক্ষার্থী ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। মোট পরীক্ষা দিয়েছিল ৯ লক্ষ ৫ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। অর্থাৎ এবার মাধ্যমিকে পাশ করেছে মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারেও প্রথম দশে জেলার জয় অব্যাহত। এই বছরে মাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেয়েছেন মোট ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। সে কোচবিহারের রামগোলা হাই স্কুলের ছাত্র। ৬৯২ পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পুরুলিয়ার সাম্যপ্রিয় গুরু। সে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র। এবার তিনজন তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। সেই তিনজনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রসাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈঋতরঞ্জন পাল, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি। ৬৯০ পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হুগলির তপোজ্যোতি মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের অর্ঘ্যদ্বীপ বসাক ৬৮৯ পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কৃশাণু সাহা, অলিভ গায়েন, মহঃ সাহারুদ্দিন এবং কৌস্তভ সাহু। সপ্তম স্থানে রয়েছে আসিভ কামাল, আবৃত্তি ঘটক, অর্পিতা ঘোষ, সাত্যতা দে, আরত্রিক শাহ, শুভমকুমার রায়, কৌস্তভ মাল, আলেখ্য মাইতি। এদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অষ্টম স্থান অধিকার করেছে ইন্দ্রণী চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, তনুকা পাল এবং ঋদ্ধি মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। নবম স্থানে রয়েছে রৌণক ঘোষ, অশ্মিতা চক্রবর্তী, বিশালচন্দ্র মণ্ডল, আমিনুল ইসলাম, চন্দ্রদীপ দাস, অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়, অন্বেষা ঘোষ, ঋদ্ধিমান পাল, সায়ক শাসমল, সাগর জানা, স্বার্ণিক ঘটক, যিষ্ণু দাস, ঋতব্রত নাগ, ঋত্বিক দত্ত, সায়নদীপ মান্না, অরন্যদেব বর্মণ। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। দশম স্থান অধিকার করেছে ভৌমি সরকার, বিশাল মণ্ডল, সৌভিক দত্ত, অনীশ কোনার, মৌর্য্য পাল, অর্ণব বিশ্বাস, সম্পূর্ণা দাঁ, নীলাঞ্জন মণ্ডল, সৌমিক খাঁ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, অগ্নিভ পাত্র, শঙ্কর পারিয়া, রিতম দাস, শুভ্রকান্তি জানা, ঈশান বিশ্বাস, স্বর্ণালী ঘোষ, প্রাঞ্জল গঙ্গোপাধ্যায়, সোমদত্তা সামন্ত। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।

পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই বছর প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৮,৭৬,৬৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ৩,৯৬,৪৭৬। পরীক্ষায় বসেছে ৩,৯৪,৭০৫। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩,৫২,১৩৯। পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ। ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ৪,৮০,২০২। পরীক্ষা দিয়েছে ৪,৭৭,১৩৪। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪,০০,৩৫২ জন। পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ।গতবারের তুলনায় পাশের হার বেড়েছে। পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে কালিম্পং জেলা। দ্বিতীয় স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় স্থানে কলকাতা।  দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৮ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ৭ জন, পূর্ব বর্ধমান থেকে ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন, বাঁকুড়া থেকে ৪ জন, মালদহ থেকে ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, নদীয়া থেকে ২ জন, ঝাড়গ্রাম থেকে ১ জন, কলকাতা থেকে ১ জন, বীরভূম থেকে ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ২ জন এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে ১ জন এবারের মেধা তালিকায় রয়েছে।