• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেসামাল অমিত শাহের কপ্টার, পাইলটের দক্ষতায় কাটল বিপদ 

বেগুসরাই, ২৯ এপ্রিল – লোকসভা ভোটের প্রচারে এক জায়গা থেকে অন্যত্র দ্রুত পৌঁছতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন হেভিওয়েট নেতারা। সোমবার প্রচারে গিয়ে বড়সড় কপ্টার বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার সময় তাঁর হেলিকপ্টার মাটি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওয়ার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে। যদিও পাইলট দক্ষতার সঙ্গে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেন। ফলে 

বেগুসরাই, ২৯ এপ্রিল – লোকসভা ভোটের প্রচারে এক জায়গা থেকে অন্যত্র দ্রুত পৌঁছতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন হেভিওয়েট নেতারা। সোমবার প্রচারে গিয়ে বড়সড় কপ্টার বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার সময় তাঁর হেলিকপ্টার মাটি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওয়ার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে। যদিও পাইলট দক্ষতার সঙ্গে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেন। ফলে  দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে সোমবার বিহারের বেগুসরাইয়ে যান অমিত শাহ। সেখানে প্রচার সারার পর দিল্লি ফেরার জন্য কপ্টারে চড়ে বসেন তিনি। তবে হেলিকপ্টার মাটি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাধে বিপত্তি। হঠাৎ প্রবল হাওয়ার ধাক্কায় ভারসাম্য হারায়। রীতিমতো দুলতে থাকে হেলিকপ্টার। এই অবস্থায় শূন্যে একটি মোড় নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চপার নিয়ন্ত্রণে আনেন চালক। এরপর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, উড়ানের সময় ডান দিকে হেলে যায় কপ্টার। প্রায় মাটি ছোঁয়ার আগেই   কপ্টার নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হন পাইলট । তার পর আবার সোজা হয়ে উড়তে শুরু করে সেটি।

নির্বাচনী প্রচারে বিহার থেকে শুরু করে বাংলা, সব রাজ্যেই যাচ্ছেন অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গেও সভা করে গেছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, ৩০ এপ্রিল বর্ধমান এবং নদিয়ায় সভা করার কথা রয়েছে শাহর। 

এদিকে সোমবার বিহারের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে বিরোধী শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অমিত শাহ। উঠে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কাশ্মীরে কী হল না হল তাতে রাজস্থান ও বিহারের কী আসে যায়। গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেস ও লালু যাদব ৩৭০ ধারাকে লালনপালন করেছেন যেন তাঁদের অবৈধ সন্তান। রাহুল গান্ধি  বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হলে উপত্যকায় রক্ত নদী বইবে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই ধারা তুলে নিয়েছেন। রক্ত নদী তো দূরের কথা, গত ৫ বছরে একটি পাথরও কেউ ছোড়ার সাহস পায়নি।’

বিরোধী জোটকে নিশানা করে শাহ আরও বলেন, ‘যদি ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হয় তবে এরা প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করবে। এক বছর শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী হবেন, এক বছর লালুজি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এক বছর মমতাজি হবেন, এক বছর হবেন স্টালিন, এবং সময় থাকলে রাহুল বাবা কুর্সিতে বসবেন। আপনারা কি এমন প্রধানমন্ত্রী চান ?’