• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দক্ষিণ ভারতে জলের ভান্ডার নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য কেন্দ্রীয় কমিশনের রিপোর্টে

বেঙ্গালুরু, ২৭ এপ্রিল– দক্ষিণ ভারত নিয়ে ভয়ঙ্কর কথা শোনাল কেন্দ্রীয় কমিশনের রিপোর্ট৷ রিপোর্ট বলছে দক্ষিণ ভারতের ভূগর্ভস্থ জলস্তর হু-হু করে কমছে৷ যার ফলস্বরূপ দাক্ষিণাত্য এলাকার জলভাণ্ডারগুলি শুকিয়ে আসছে৷ ১০ বছরের মধ্যে যা সব থেকে কম৷ তবে অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম, ওডি়শা এবং পশ্চিমবঙ্গে জলের মজুত ভাণ্ডারে অপেক্ষাকৃত উন্নতি ঘটেছে৷ সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, গোটা দক্ষিণ

বেঙ্গালুরু, ২৭ এপ্রিল– দক্ষিণ ভারত নিয়ে ভয়ঙ্কর কথা শোনাল কেন্দ্রীয় কমিশনের রিপোর্ট৷ রিপোর্ট বলছে দক্ষিণ ভারতের ভূগর্ভস্থ জলস্তর হু-হু করে কমছে৷ যার ফলস্বরূপ দাক্ষিণাত্য এলাকার জলভাণ্ডারগুলি শুকিয়ে আসছে৷ ১০ বছরের মধ্যে যা সব থেকে কম৷ তবে অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম, ওডি়শা এবং পশ্চিমবঙ্গে জলের মজুত ভাণ্ডারে অপেক্ষাকৃত উন্নতি ঘটেছে৷
সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, গোটা দক্ষিণ ভারতে জলের ভাণ্ডার এখন ১৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে৷ সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে তীব্র জলসঙ্কটের পর সকলের টনক নড়লেও পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে কর্ণাটকসহ অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুতেও৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় জল কমিশনের প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানা গিয়েছে৷
তবে আপাতত সুখের বিষয় অন্যদিকে, গুজরাত, মহারাষ্ট্রসহ পশ্চিমাঞ্চলে আগের বছরের তুলনায় জলের মজুত ভাণ্ডার অপেক্ষাকৃত কম৷ একইভাবে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে জলের পরিমাণ তলানিতে এসে ঠেকতে চলেছে৷
জল কমিশন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং বিপজ্জনকভাবে কম এই তিন বিভাগে রিপোর্ট তৈরি করেছে৷ যার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, নর্মদা এবং তাপ্তি নদীর জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে ভালো৷ অন্যদিকে, কাবেরী এবং মহানদী ও পেন্নার-এর জলস্তর খুবই কমেছে বলে উল্লেখ রয়েছে৷
দাক্ষিণাত্যের ক্ষেত্রে কমিশনের তথ্য বলছে, ৪২টি জলভাণ্ডারে বর্তমানে মোট ৫৩.৩৩৪ বিলিয়ন বর্গ মিটার (বিসিএম) জল থাকার কথা৷ এখন রয়েছে ৮.৮৬৫ বিসিএম৷ যা মোট ধারণ ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ৷ গতবছর ছিল ২৯ শতাংশ৷ এবং গত ১০ বছরের গড় হল ২৩ শতাংশ৷ এই পরিমাণে মজুত জলভাণ্ডার কমতে থাকায় সেচ, পানীয় জল এবং জলবিদু্যৎ উৎপাদনে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
পূর্বাঞ্চলের ২৩টি জলভাণ্ডারের ধারণ ক্ষমতা হল ২০.৪৩০ বিসিএম৷ সেখানে বর্তমানে রয়েছে ৭.৮৮৯ বিসিএম৷ অর্থাৎ ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩৯ শতাংশ৷ গতবছর যা ছিল ৩৪ শতাংশ৷ একইভাবে পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চলেও মজুত ভাণ্ডারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷
এই অবস্থায় কর্নাটকের শুখা মরশুমের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গতকালই ৩.৪৫৪ কোটি টাকা খরা মোকাবিলায় বরাদ্দ করেছে৷ কর্নাটক সরকার চলতি খরার জন্য কেন্দ্রের কাছে ১৮,১৭৪ কোটি টাকা চেয়েছিল৷ এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসাবে৷