ইম্ফল, ২৭ এপ্রিল: মণিপুরে ভোটে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের ওপর দুষ্কৃতী হামলা। ঘটনায় নিহত হন দুই জওয়ান। মৃত দুই জওয়ানের মধ্যে একজনের নাম এন সরকার, তিনি সিআরপিএফ-এর সাব ইন্সপেক্টর। এবং অন্যজনের নাম অরূপ সাইনি। তিনি হেড কনস্টেবল। নিহত অরূপ সাইনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও দুই জওয়ান। গুরুতর জখম ওই দুই জওয়ান হলেন, ইন্সপেক্টর যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারী দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন রাত ২টো বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর কুকি জঙ্গিরা হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার পাহাড়ি এলাকা নারানসেনায়। সেসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ফাঁড়িতে হামলা চালায় কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত ওই জঙ্গিরা। তারা প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় ভোটের ডিউটি করে ফাঁড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ফাঁড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে বোমা ছোঁড়ে। সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যুত্তর দেয় সিআরপিএফ জওয়ানরা। তখন ওই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ঘটে যায় অঘটন। কুকি সম্প্রদায়ের ওই দুষ্কৃতীদের গুলিতে চারজন সিআরপিএফ জওয়ান জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই দুই জনের মৃত্যু হয়। এই তথ্য সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মণিপুরের একটি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। মনিপুরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রদীপ কুমার ঝা বলেন, শুক্রবার মণিপুরে সর্বোচ্চ মার্জিনে ভোট পড়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সেখানে প্রায় ৭৮.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় কোনও গোলমালের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন দ্বিতীয় দফায় বড় সংখ্যায় ভোট পড়েছে। ভোট চলাকালীন একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নিয়ে একটি সমস্যার ঘটনা ঘটে। বাকি সব কেন্দ্রে ভোট সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে হয়। তিনি দাবি করেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়েও এবার যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল।