• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সন্দেশখালিতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার বিজেপির গেমপ্ল্যান: মমতা

কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: সন্দেশখালিতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার আসলে বিজেপি-র একটি গেমপ্ল্যান। একথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এভাবে বিজেপি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে। ভোটের সময় তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হচ্ছে বলে দলের অভিযোগ। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই-এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে। প্রসঙ্গত ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার

প্রতীকী চিত্র

কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: সন্দেশখালিতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার আসলে বিজেপি-র একটি গেমপ্ল্যান। একথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এভাবে বিজেপি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে। ভোটের সময় তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হচ্ছে বলে দলের অভিযোগ। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই-এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার দেশ ও রাজ্যজুড়ে হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় দফার লোকসভা ভোটের দিনে বহু বিতর্কিত সন্দেশখালিতে বিপুল অস্ত্র ও বিদেশী বন্দুক উদ্ধার করে সিবিআই। অভিযানের সময় এলাকায় মোতায়েন করা হয় এনএসজি কমান্ডো। সঙ্গে নিয়ে আসে হাই-টেক রোবটস। লোকসভা ভোটের সময় এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক গেমপ্ল্যান বলে আখ্যায়িত করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘বিজেপি-র এই ডুবন্ত জাহাজ’কে কেউ রক্ষা পারবে না। তারা ভোটে জেতার জন্য টাকা আর ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।

গতকাল রাতে সন্দেশখালিতে যখন অভিযান চলছে, তখন ঘটনাটির প্রতিক্রিয়ায় মমতা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একথা পোস্ট করেন। তিনি বলেন,’লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোটের পরেই বিজেপি রাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য প্রতি মুহূর্তে টাকা আর পেশি শক্তির প্রয়োগ করছে।’ গতকাল শুক্রবার তিনি রাত ১০টা ২১ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে ফের লেখেন, “কিন্তু ঘাটাল এবং ঝাড়গ্রামে আমার জনসভার সময় জনগর্জনের আসল নির্যাস-জনগণের শক্তি-র প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেলাম। এবার বিজেপি-র ডুবন্ত জাহাজকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। মানুষের জয় অনিবার্য।”

এদিকে, এই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তাঁর দল সিবিআই-এর বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। দলের নেতাদের সেই অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যে হতে চলা সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এনএসজি-র সহযোগিতা নিয়ে সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। দলের তরফ থেকে দায়ের হওয়া অভিযোগে আরও দাবি করা হয়েছে, এই দ্বীপ অঞ্চলের ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এই ধরণের অভিযান চালানো হচ্ছে।

তৃণমূল নেতৃত্ব আরও দাবি করে, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কিন্তু সিবিআই রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়েছে। সরকারের কাছে এটা স্পষ্ট নয় যে, সন্দেশখালিতে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র সত্যিই কি পাওয়া গিয়েছিল, নাকি সিবিআই ও এনএসজি পরিকল্পনা করে অভিযানের আগেই সন্দেশখালিতে এগুলি রেখে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতারা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকারকে প্রতি মুহূর্তে আক্রমণ করছে। এদিন নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই অভিযোগগুলি করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতারা বিষয়টি নিয়ে কমিশনকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরা কমিশনকে অবহিত করেন, নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এই ধরণের পদক্ষেপ করতে পারে না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ধৃত তৃণমূলে নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠের সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে সিবিআই। সেই সঙ্গে সেখান থেকে শেখ শাহজাহানের বিভিন্নরকম নথিও উদ্ধার হয়। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে এসে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। যে হামলার মূল মাথা ছিল শেখ শাহজাহান। তার আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ ইডি হানা দিলে শাহজাহান ফোন করে তার অনুগামী এলাকাবাসীদের জড়ো করে বলে অভিযোগ।