• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রত্যাশার চাপে শ্রেয়স আইয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি— বিশেষ করে বাংলায় যখন আইপিএল ক্রিকেটের খেলা চলে, তখন উন্মাদনা এমন জায়গাায় পৌঁছয়, তাতে অনেককিছুই বদলে যায়৷ সমর্থকরা প্রত্যাশা করেন তাঁদের প্রিয় দলের জয় দেখতে৷ তারপরে আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক হলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান৷ সবদিক দিয়ে প্রত্যাশা এমন জায়গায় পৌঁছয়, তাতে চাপে পড়ে যেতে হয় প্রত্যেককে৷ এই মুহূর্তে টানা দশ বছর

নিজস্ব প্রতিনিধি— বিশেষ করে বাংলায় যখন আইপিএল ক্রিকেটের খেলা চলে, তখন উন্মাদনা এমন জায়গাায় পৌঁছয়, তাতে অনেককিছুই বদলে যায়৷ সমর্থকরা প্রত্যাশা করেন তাঁদের প্রিয় দলের জয় দেখতে৷ তারপরে আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক হলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান৷ সবদিক দিয়ে প্রত্যাশা এমন জায়গায় পৌঁছয়, তাতে চাপে পড়ে যেতে হয় প্রত্যেককে৷ এই মুহূর্তে টানা দশ বছর কলকাতা নাটি রাইডার্সের ঘরে আইপিএল ট্রফি নেই৷ তারপরে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে হয়৷ এমনই ভাবনার কথা প্রকাশ করলেন কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার৷
আগামী শুক্রবার কলকাতার ইডেন উদ্যানে কেকেআর খেলবে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে৷ যেই বিপক্ষে খেলুক না কেন, কেকেআরের প্রতি বাংলার দর্শকদের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে৷ হয়তো সেই কারণে প্রত্যাশার ফানুসটা সবসময় বড় হয়ে থাকে৷ কিন্ত্ত অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এই প্রত্যাশা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন৷ প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নামলে আরও চাপ বাড়ে৷ যদি ঠিকমতো ফলাফল দেখতে না পাওয়া যায়, তাহলে হতাশা গ্রাস করে৷ যার ফলে খেলার ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায়৷ ক্রিকেট খেলে যখন বাঁচতে চান শ্রেয়স আইয়ার, তখন তিনি কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ছন্দকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর৷ গত ম্যাচে এই ইডেন উদ্যানে রয়্যাল চ্যালে.ঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারাতে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে৷ তখন টেনশন আরও বেড়ে যায়৷ ঘরের মাঠে খেলা হবে, দর্শকরা আরও বেশি টেনশন বাড়িয়ে দেন৷ এই অভিজ্ঞতা প্রতিটি ম্যাচে প্রত্যক্ষ করা গেছে৷ দর্শকদের অনুভূতি অবশ্যই দলের সাফল্যে কাজ করে থাকে৷ এই অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না৷
কেকেআর দলের হয়ে খেলতে নামার মধ্যে অন্য কথা বলে থাকে৷ মনেই হয় না কোনওরকম প্রত্যাশা আমাকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে৷ এই কথা বলে শ্রেয়স আইয়ার বলেন, সামনে আরও দু’টি ম্যাচ রয়েছে ইডেন উদ্যানে৷ সেই ম্যাচ দু’টিতে যাতে কেকেআর সাফল্য তুলে আনতে পারে, তার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি থাকবে না৷ সেই কারণেই কেকেআর দলের হয়ে খেলা যে কোনও খেলোয়াড়কে অনেকটাই এগিয়ে দেবে৷

এদিকে সাত ম্যাচে কেকেআরের হয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থেকে হঠাৎই ব্যাটসম্যান হিসেবে সবার নজর কেড়ে নিলেন আফগানিস্তানের রহমানুল্লা গুরবাজ৷ গত মরশুমে কেকেআরের হয়ে চুটিয়ে খেলেছেন ওপেনারের ভূমিকায়৷ তবে এবার ফিল সল্ট এতটাই ভালো খেলছেন, যার ফলে গুরবাজের জায়গাই হচ্ছে না৷ গুরজাব যেমন উইকেট রক্ষক তেমনই সল্টও উইকেটরক্ষক৷ যার ফলে কোনওভাবেই গুরবাজের জায়গা হচ্ছিল না৷ এবারে দেখা গেল গুরবাজ অনুশীলনের ফাঁকে বল হাতে স্পিন করাচ্ছেন৷ এই ভিডিও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়৷ প্রথম বলেই উইকেটে লাগান গুরবাজ৷ দু’হাত তুলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মেতে ওঠেন৷ আফগানিস্তানের আর একজন রহস্য স্পিনারকে পাওয়া গেল, এমনই কথা শোনা যাচ্ছে কেকেআর শিবিরে৷