• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিজেপি দলটাকে বাংলা থেকে উঠিয়ে দেব: অভিষেক

আজ পুরুলিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠক প্রশান্ত দাস: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিজেপিকে একের পর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ এবার বাংলা থেকে বিজেপি দলটাকেই তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড৷ জঙ্গিপুরের জনসভার পর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে বুধেই মুর্শিদাবাদে রোড শো করেন অভিষেক৷ সেই রোড শো থেকে

আজ পুরুলিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠক

প্রশান্ত দাস: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিজেপিকে একের পর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ এবার বাংলা থেকে বিজেপি দলটাকেই তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড৷ জঙ্গিপুরের জনসভার পর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে বুধেই মুর্শিদাবাদে রোড শো করেন অভিষেক৷ সেই রোড শো থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেসকে৷ বিজেপির ১০ জন বিধায়ক তৃণমূলে আসার জন্য পা বাডি়য়ে বসে আছেন, দাবি অভিষেকের৷ তিনি বলেন, “বিজেপির এখনও ১০ জন এমএলএ লাইনে আছে৷ ঠিক টাইমে দরজা খুলব৷ আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি দলটাকে বাংলা থেকে উঠিয়ে দেব৷” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০২১ সালে ভেবেছিলো আমাদের দল ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল করবে৷ আর বিজেপির নেতারা এখন লাইন দিয়ে রয়েছে তৃণমূলে কবে ঢুকবে৷ আমরা দরজা বন্ধ করে রেখেছি৷ যদি দরজা খুলি দল উঠে যাবে৷ আমাদের দুই সাংসদকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছিল৷ সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির দুই সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করেছেন বাবুল সুপ্রিয়ো এবং অর্জুন সিং৷” পাশাপাশি অভিষেক দাবি করেন, বিজেপির প্রার্থীই নেই৷ এ প্রসঙ্গে তাপস রায়কে টেনে তিনি বলেন, “ইডির ভয় দেখিয়ে তাপস রায়কে জোর করে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছে৷ আসলে প্রার্থী নেই তো৷ তৃণমূল থেকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করছে৷”

বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “বিজেপির যত রাগ তো আমার ওপর৷ বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে গত ৩-৪ বছর ধরে আমার মা, বাবা, স্ত্রী কাউকে ছাডে়নি৷ তবু মাথা নত করিনি৷ আর গলা টিপে দিলেও মাথা নত করব না৷ দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না৷ মাথা নত করতে হলে মানুষের কাছে মাথা নত করব৷” মাছ খান যারা, তারাই হিন্দুবিরোধী এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর৷ এই প্রসঙ্গেই বাঙালি মনীষীদের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বাঙালিকে দেশবিরোধী বলছেন! যেই বাঙালি না থাকলে দেশ স্বাধীন হত না, বর্ণপরিচয় রচিত হতো না, সতীদাহ প্রথা বন্ধ হত না৷ আর মমতা বন্দোপাধ্যায় না থাকলে আজও সিপিএমের বোমা বন্দুকের নিচে মাথা নিচু করে বেঁচে থাকতে হত৷
এদিনের রোড শো থেকেও ফের কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷ বাম কংগ্রেসকে ‘বিজেপির দোসর’ বলে কটাক্ষ অভিষেকের৷ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সেলিমের দিকে আক্রমণের তীর ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, “২০১৯ সালে রায়গঞ্জ থেকে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ভোট পেয়ে বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরীকে জিততে সাহায্য করেছিলেন৷ আর এক দিকে ছিল দীপা দাস মুন্সী, তিনিও দেবশ্রী চৌধুরীকে জিততে সাহায্য করেছিলেন৷ এঁরাই ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছেন৷” সেই সূত্রেই মুর্শিদাবাদকে দ্বিতীয় রায়গঞ্জ হতে না দেওয়ার আবেদন জানালেন অভিষেক৷ সেলিম তথা বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বদের ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে নিশানা করে বলেন, “কখনও দাঁড়াবেন রায়গঞ্জে, কখনও উত্তর কলকাতায়, কখনও আবার ভোট কাটতে মুর্শিদাবাদে আসবেন৷ অভিষেকের ভাষায়, বিজেপির জনবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সর্বদাই প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে তৃণমূল৷ বাম, কংগ্রেস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করেছে কেবল৷ তাই আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটদান মানে কেবল বিজেপিকে নয়, পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসকেও উৎখাত করা৷”

অজান্তে ভুল করলে মানুষকে ক্ষমা করা যায় কিন্ত্ত যাঁরা মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করে, নিজের আদর্শকে বিক্রি করে দেয়, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে একে ওপরের সঙ্গে হাত মেলায় তাঁদেরকে এমন জবাব দিতে হবে, এই পাশেই পদ্মা নদী ঝেঁটিয়ে বিদায় করে একেবারে ওই পাড়ে ফেলতে হবে”, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী তথা গোটা দলকেই কড়া ভাষায় বিঁধলেন অভিষেক৷ বিজেপির সাথে বঙ্গীয় কংগ্রেসের ‘সেটিং’ নিয়েও সরব হন যুবরাজ৷ তাঁর মতে, রাহুল গান্ধীকে সিবিআই ডাকছে কিন্ত্ত অধীর চৌধুরী, বিমান বসুর নাম থাকার পরও তাঁদের ডাকছে না৷ তাহলে সেটিংটা কার সঙ্গে কার?” সাধারণ মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক৷