দিল্লি, ২৪ এপ্রিল– প্রথম দফা ভোটের পর রাজনৈতিক ময়দানে ভোটের লড়াই যেন আরও জোরালো হয়ে উঠল৷ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল মিথ্যা দাবি করেছেন৷ নীতি আয়োগের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিজেপির অভিযোগ, রাহুল বিভ্রান্তি ছড়ানোর রাজনীতি করছেন৷
এখানেই শেষ নয়, গেরুয়া শিবিরের আরও দাবি, রাহুল ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন৷ ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে দেশে উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন করছেন তিনি৷ কমিশন যেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে৷
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি-র প্রতিনিধির দল৷ তাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ ও দলের মুখপাত্র অনিল বালুনি৷ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন বলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ ঠুকে এসেছে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল৷ কমিশনে নালিশ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল৷ সাংবাদিক বৈঠক করে তরুণ চুঘ ও অনিল বালুনি জানিয়েছেন যে রাহুল গান্ধি কোনও প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা প্রচার করছেন৷ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, দেশের আরও ২০ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন৷ অথচ তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণই নেই৷ নিজেদের সপক্ষে যুক্তি রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল নীতি আয়োগের রিপোর্টও তুলে ধরে সাংবাদিকদের সামনে৷ বিজেপি নেতারা জানান যে রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের আমালে দশ বছরে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছেন৷ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তরুণ চুঘ বলেছেন, বিজেপি সমস্ত ভাষাকে সম্মান করে৷ তামিল ভাষার জন্য গর্বিত তারা৷ তাদের ইস্তেহারেও তামিল ভাষার প্রচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত রাহুল গান্ধী ঘৃণ্য কাজ করেছেন৷ তাঁর জন্য দেশের আভ্যন্তরীণ শান্তিও বিঘ্নিত হতে পারে৷ তরুণ চুঘ আরও বলেন, “আমরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷ কংগ্রেস নেতা বক্তৃতার সেই লিঙ্কও দিয়েছি৷ তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি৷”