• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

চ্যাম্পিয়নের মতো লাগছে হায়দরাবাদকে

হায়দরাবাদ– আইপিএলের এক মরশুমে আর কি করতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে! ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা দুনম্বরে উঠে এসেছে৷ শিরোপা পেতে এখনও অনেক লম্বা দৌড়তে হবে৷ কিন্ত্ত তার আগে তারা যা করে দেখিয়েছে, তা দেখে প্যাট কামিনসের দলকে চ্যাম্পিয়নের মতো লাগছে৷ বলা যেতে পারে কাপ না জিতলে সেটাই অঘটন হবে৷ আর জিতলে বলতে হবে, এমনটা

হায়দরাবাদ– আইপিএলের এক মরশুমে আর কি করতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে! ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা দুনম্বরে উঠে এসেছে৷ শিরোপা পেতে এখনও অনেক লম্বা দৌড়তে হবে৷ কিন্ত্ত তার আগে তারা যা করে দেখিয়েছে, তা দেখে প্যাট কামিনসের দলকে চ্যাম্পিয়নের মতো লাগছে৷ বলা যেতে পারে কাপ না জিতলে সেটাই অঘটন হবে৷ আর জিতলে বলতে হবে, এমনটা তো হওয়ারই ছিল৷

আইপিএলে এতদিন যা হয়নি, তাই করে দেখিয়েছে হায়দরাবাদ৷ সাতটির মধ্যে তিনটি ম্যাচে আড়াইশো পার করেছে৷ প্রথমে ২৭৭৷ তারপর ২৮৭৷ শনিবার দিল্লির বিরুদ্ধে ২৬৬৷ এমন রেকর্ড কোনও দলের কাছ নেই৷ শুধু তাই নয়, এক ইনিংসে ২২টি ওভার বাউন্ডারি মেরে নিজেদের নাম রেকর্ড বুকে তুলে নিলেন৷ আরও একটি আছে৷ পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে ১২৫৷ এটাও নজির হয়ে রইল৷ সেরার মুকুট মাথায় তুলতে আর কি করতে হবে৷
আইপিএলে টস জিতলে প্রায় সব দল আগে ফিল্ডিং করে নিচ্ছে৷ প্রতিপক্ষের রান দেখে খেলতে নামলে সুবিধা পাওয়া যায়৷ কিন্ত্ত হায়দরাবাদের কাছে এই টোটকা কাজে দেয় না৷ কারন তারা তিনটি ম্যাচে যে বিশাল রান তুলেছে, তা সবই আগে ব্যাট করে৷ দিল্লির বিরুদ্ধেও তাই হল৷ এরপর কি টস জিতলে আগে ব্যাট করার ভাবনা মাথায় আসবে বাকি দলগুলির!

গত দুবছরে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে একটি নাম আতঙ্ক তৈরি করেছে৷ অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড৷ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন রোহিতদের৷ তারপর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে আবার সেই হেডের রংবাজি৷ তাঁর দাপটেই ভারতের সব জারিজুরি শেষ৷ শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির মাঠে হেড ও অভিষেকের দাপটে দিল্লি পালিয়ে গেলে যেন বাঁচে৷ ব্যাটকে হাতিয়ার করে দিল্লির বোলারদের উপর দুই ব্যাটসম্যান ঝাঁপিয়ে পড়লেন৷ তাই ৬ ওভারে রান উঠল ১২৫৷ আম্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় বোলারদের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা আছে৷ কিন্ত্ত অভিষেক! তাঁর তো এমন কিচু নেই৷ সেই তিনি ১২ বল খেলে করলেন ৪৬৷ স্ট্রাইক রেট ৩৮৩.৩৩৷ যার মধ্যে দুটি বাউন্ডারি ও ছটি ওভার বাউন্ডারি৷ আর হেড ৩২ বল খেলে করলেন ৮৯ রান৷ ২৭৮ স্ট্রাইক রেট রেখে ১১টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউ্ন্ডারি মেরে ম্যাচের সেরা হেড প্রায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যান৷ এঁরা যখন খেলছিলেন, তখন মনে হয়েছিল হায়দরাবাদ তিনশো পার করে য়াবে৷ কিন্ত্ত দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর রান কিছুটা মন্থর হয়ে পডে়৷ তবু শাহবাজের দাপটে আড়াইশো পার করে ফেলে হায়দরাবাদ৷ ক্লাসেন ও মার্করামরা রান পেলে ম্যাচটা কোথায় যেত৷ তবু ২৬৬ রান সেটাই বা কম কিসের৷ ম্যাচ তো তখনই কামিনসদের হাতে৷

তবু শুরুতে চিন্তা ছিল৷ সেটাও এক অস্ট্রেলিয়ানের দাপটে৷ ২২ বছরের জ্যাক ফ্রেজার ( ১৮ বল খেলে ৬৫) ও অভিষেক পোডে়লের ( ২২ বল খেলে ৪২) দাপটে দিল্লি আশা জাগিয়েছিল৷ পাওয়ার প্লে-তে রান এল ৮৮৷ তারপর ৯ ওভারে ১৩৫৷ কিন্ত্ত উইকেট চলে যাওয়ায় দিল্লি পেরে উঠল না. শেষদিকে ঋষভ ৩৫ বল খেলে ৪৪ করলেও দিল্লি ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে গেল৷ হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতল ৬৭ রানে৷ এবং লিগ টেবিলে উঠে এল দুনম্বরে৷