মুম্বই– মুখ খুললেন সুরেশ রায়না৷ আইপিএলের মাঝে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি৷ ২০০৮ সাল থেকে আইপিএলে ধোনির বড় অস্ত্র ছিলেন রায়না৷ সেই ধোনির রাগ দেখেছিলেন রায়না৷ তাঁর সঙ্গে ধোনির বিবাদের খবরও বেরিয়েছিল৷ সত্যিই কি সেই বিবাদ হয়েছিল? সেই সব প্রশ্নেরই জবাব দিলেন রায়না৷
২০১৪ সালের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাব কিংসের কাছে হারায় ফাইনালে ওঠা হয়নি চেন্নাইয়ের৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ৷ ২২৭ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই শুরুটা দারুণ করলেও জিততে পারেনি৷ এই হার মেনে নিতে পারেননি ধোনি৷ সাজঘরে ফিরে নিজের রাগ দেখিয়েছিলেন তিনি৷
একটি সাক্ষাৎকারে রায়না বলেন, “ধোনিকে আমি কোনও দিন অত রাগতে দেখিনি৷ ও ফুঁসছিল৷ নিজের হেলমেট আর প্যাড রাগে ছুডে় ফেলেছিল৷ সে দিন সবার সঙ্গে একটু বেশি ক্ষণ কথা বলেছিল ধোনি৷ ও বলছিল, এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম৷ আমাদের হারা উচিত হয়নি৷ সেই ম্যাচটা জিতলে হয়তো সে বারও আইপিএল জিততাম আমরা৷ সেটাই ধোনির মাথায় ছিল৷ তাই ওই হার ও নিতে পারেনি৷”
কোভিড অতিমারির মধ্যে ২০২০ সালের আইপিএল হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে৷ সেখানে জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে হত ক্রিকেটারদের৷ রায়না আমিরশাহিতে যাওয়ার পরে প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই দেশে ফিরে আসেন৷ প্রথমে জল্পনা ছডি়য়েছিল যে হোটেলের ঘর পছন্দ হয়নি রায়নার৷ তাই ফিরে আসেন তিনি৷ ধোনির সঙ্গে বিবাদও হয় তাঁর৷ যদিও পরে শোনা যায়, রায়নার পরিবারের কয়েক জন খুন হয়েছিলেন৷ তাই ফিরে এসেছিলেন রায়না৷
সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন রায়না৷ তিনি বলেন, “আমার কাকার পরিবারের তিন জনকে খুন করা হয়েছিল৷ পাঠানকোটে দুষ্কৃতীরা পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত তখনই আমি ফিরতে পারিনি৷ কোভিডের কারণে অনেক নিয়ম ছিল৷ ১৫ দিন জৈবদুর্গের মধ্যে থাকতে হত৷ তাই সুযোগ পেয়েই দেশে ফিরে এসেছিলাম৷ সেই সময় আমি পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম৷ ধোনিকে সবটা বলেছিলাম৷ ও আমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিল৷”
২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেন রায়না৷ মাঝে দু’বছর চেন্নাই নির্বাসিত থাকায় গুজরাত লায়ন্সে খেলেছিলেন তিনি৷ আইপিএলে ২০৫টি ম্যাচ খেলেছেন রায়না৷ করেছেন ৫৫২৮ রান৷ চেন্নাইয়ের হয়ে চারটি আইপিএল জিতেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার৷