সাতনা ও রাঁচিতে ছিল ইন্ডিয়া জোটের এই কর্মসূচি। সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের। রবিবার মধ্যপ্রদেশের সাতনায় একটি সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধির। সেখান থেকে রাঁচিতে ইন্ডিয়া জোটের সভায় বক্তৃতা দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রবিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাহুল গান্ধি । তাঁর পক্ষে দিল্লি ছেড়ে বেরনো আপাতত অসম্ভব। কিন্তু রাহুলের ঠিক কী ধরণের শারীরিক অসুস্থতা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত খবর মেলেনি। কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অনুমান, প্রবল গরমে লাগাতার প্রচার করতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতাকে। এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে অসুস্থ হন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ এপ্রিল রয়েছে লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফা। এই পর্বেই ভোট রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুলের ওয়েনাড় কেন্দ্রে। নিজের আসনে ভোটের আগে তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধি আদৌ ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। রাহুল গান্ধি নিজেও এই নিয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি। তা নিয়ে কটাক্ষও করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, ‘আমেঠি থেকে পালিয়েছেন রাহুল গান্ধি । এবার ওয়েনাড় আসনেও মুখ থুবড়ে পড়বেন তিনি। তারপর কংগ্রেসের তরফে রাজপুত্রের জন্য অন্য একটি নিরাপদ আসন খুঁজতে হবে।’
এখনও উত্তর প্রদেশের আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। ২০১৯ সালে এই আসনেই স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল।
দিল্লির রামলীলা ময়দানের পর এবার রাঁচিতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা ব়্যালি। রাহুলের পরিবর্তে ইন্ডিয়া জোটের সভায় যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনিই সভায় বক্তৃতা দেন। রাঁচি সমাবেশে আপ-এর তরফে ছিলেন তিহার জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা। জেএমএম-এর আমন্ত্রণে আয়োজিত এই সমাবেশের নাম দেওয়া হয় ‘উলগুলান ন্যায় সভা’। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি শারদ গোষ্ঠী, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী, সিপিআই, সিপিআইএম , ন্যাশনাল কনফারেন্স, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে-সহ বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় এই সমাবেশে। মূলত হেমন্ত সোরেন ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরোধিতা করতেই এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
প্রথম দফার ভোটের পর আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে ইন্ডিয়া জোটের তরফে কী বার্তা আসে তার দিকে লক্ষ্য রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।