দিল্লি, ২০ এপ্রিল– দেশে তিন নতুন ফৌজদারি আইন বলবতে পরিবর্তন আসছে বলে বার্তা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়৷ শনিবার বললেন, এই আইনগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ যেমন, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার স্বার্থ সুরক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে৷ আজকের দিনে দাঁডি়য়ে তা খুব জরুরি ছিল৷ এছাড়াও তদন্ত চালানো এবং অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াতেও কার্যকরী পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, এ বছর ১ জুলাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম নামে তিনটি ফৌজদারি দণ্ডবিধি লাগু হবে৷ ঔপনিবেশিক আমলের অপরাধ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন ঘটনায়এই আইনবিধিকে বিজেপি সরকার নিজেদের সুবিধামতো তৈরি করেছে এবং এতে এর ফলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করে বিরোধীরা৷
প্রসঙ্গত বলা যায়, এই তিন দণ্ডবিধি গতবছর ২১ ডিসেম্বর সংসদে আইন হিসেবে পাশ হয় এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২৫ ডিসেম্বর অনুমোদন দিয়ে দেন৷ এই আইনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা বলা আছে৷ রাষ্ট্র বা দেশদ্রোহ নিয়ে নতুন ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে৷ কম্পিউটার কেন্দ্রিক এফআইআর গ্রহণের ব্যবস্থাও চালু হতে চলেছে৷ বিশেষ করে গণপিটুনিতে মৃতু্য এবং ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে মৃতু্যদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে৷
কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি যে আইন নিয়ে খড়গহস্ত, এদিন সেই আইনকেই সমর্থনের সিলমোহর দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি৷ তাঁর মতে, ভারত যে বদলে যাচ্ছে এটা তারই পরিষ্কার ইঙ্গিত৷ নতুন কালের সন্ধিক্ষণে ফৌজদারি দণ্ডবিধির পরিবর্তন সাধন জরুরি ছিল বলে মত তাঁর৷
নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডিয়াস প্রগ্রেসিভ পাথ ইন দি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ ক্রিমিন্যাল জাস্টিস সিস্টেম’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তব্য বলছিলেন প্রধান বিচারপতি৷ তিনি বলেন, সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদের পরিবর্তন জরুরি৷ এটা সেরকমই একটা পদক্ষেপ৷ যেখানে আমাদের চলতি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা পড়বে৷
চন্দ্রচূডে়র মতে, নতুন এই তিন ফৌজদারি দণ্ডবিধির মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য বদল আসতে চলেছে৷ যাঁরা এই আইন প্রয়োগ করবেন, এখন তাঁদের উপরই নির্ভর করবে দণ্ডবিধির কার্যকারিতা৷ একে গ্রহণ করে নিতে হবে৷