ছিপছিপে শরীর থেকে শুরু করে স্থুলকায়৷ সবার ক্ষেত্রেই হূদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ অনেকে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও শরীরচর্চা করেন৷ আবার অনেকে আছেন ফিটনেস ফ্রিক৷ তাদের জিমে যেতেই হবে৷ তীব্র এই গরমে জিমে গেলে শরীরের ওপর ভীষণ ধকল পড়বে৷ অতিরিক্ত গরমে ঘাম হওয়ার পাশাপাশি শরীরে জলশূণ্যতা দেখা দিতে পারে৷ আর জিম থেকে বের হয়ে অনেক সময় শরীরে নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে৷ এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মিরপুরের ফিটনেস হ্যাভেন জিমের ইনস্ট্রাকটর গোলাম মাইনুদ্দিন৷ডিহাইড্রেশন
শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে হ্যামস্ট্রিং বা শরীরের অন্য কোনো পেশিতে টান ধরতে পারে৷ আর জলের অভাবে মাথা ঘোরা এমনকি দূর্বল হয়ে পড়ার মতো সমস্যা হয়৷ তখন জিমে মনোযোগ দেওয়া যাবে না৷ উলটো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে৷
তবে এরও সমাধান রয়েছে, যেমন-
ইলেক্ট্রোলাইট আছে এমন খাবার ও পানীয় প্রয়োজন পান করুন৷ আপনার ডায়বেটিস থাকলে বাজারের ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক পান করবেন না৷ বরং ডাবের জল, শসা, তরমুজ বেশি করে খাবেন৷ জল খাবেন বেশি৷ একদম ঠান্ডা জল খাওয়ার চেষ্টা করবেন না৷ স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল পান করুন৷
গরমে স্টাইলের খেয়াল একটু কম করলে ক্ষতি নেই ৷ ঢিলেঢাকা পোশাকই আরাম দেয় বেশি৷ কিন্ত্ত ইনস্টা ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার বা অনেককে দেখে আটসাট পোশাক কিনে ফেলেন অনেকে৷ এ ধরনের পোশাক পরে দমবদ্ধ হয়ে আসে এমনকি বুকে চাপ বাড়ে৷ নাইলনজাতীয় ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হওয়া আটসাট পোশাক শরীরে হাওয়া চলাচলে বাধা দেয়৷ অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে৷ গরমে আরামদায়ক, হালকা রঙের পোশাক পরেই শরীরচর্চা করুন৷
বাড়তি গরম যেহেতু তাই শরীরের ওপর বাড়তি চাপ না দেয়াই ভালো৷ অতিরিক্ত শরীরচর্চায় না বললেই ভালো৷ তীব্র গরমে এসি জিমে আপনি হয়তো তা বুঝছেন না কিন্ত্ত বাইরে গরমে বের হলে তখন খারাপ লাগা কাজ করতে পারে৷ গরমে শরীরচর্চার মাত্রা বুঝতে আপনার ইনস্ট্রাকটরের সঙ্গে আলাপ করুন৷
অনেকেই বাইরে শরীরচর্চা করতে চান৷ সেটা মন্দ কিন্ত্ত নয়৷ তবে তীব্র গরমে খুব ভোরে বের হলেও রোদ পড়ার আগেই ফিরে আসুন৷ বিকেলের দিকটা এবার রেহাই দিন৷ বিকেলের পরের সময়টা করতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই৷
পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি
ব্যস্ত এই সময়ে হাতে সময় অল্প৷ তাই জিম ছেড়েই ভো দৌড়৷ এমনটি করবেন না৷ প্রয়োজনে কম শরীরচর্চা করুন কিন্ত্ত বিশ্রাম কমাবেন না৷