• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এসএসসি মামলায় ইডির তিনশো পাতার চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিনিধি– বৃহস্পতিবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ইডি এজলাসে এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা করল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ আদালত সুত্রে প্রকাশ, তিনশো পাতার চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা একশোর বেশি৷ অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জন এবং ৯০টির বেশি

নিজস্ব প্রতিনিধি– বৃহস্পতিবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ইডি এজলাসে এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা করল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি৷ আদালত সুত্রে প্রকাশ, তিনশো পাতার চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা একশোর বেশি৷ অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জন এবং ৯০টির বেশি সংস্থার নাম৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সি মনে করছে, এই মামলায় একাদশ-দ্বাদশ অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা ১১২০ জনের কাছাকাছি৷ নবম-দশমে সেই সংখ্যা ৯৪৬ জনের কাছাকাছি৷ এই মামলায় একাধিক ‘এজেন্ট’ এবং ‘মিডলম্যান’ জডি়ত রয়েছেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি৷ মূল চার্জশিটের পাশাপাশি ১৭ হাজারেরও বেশি পাতার নথিও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি৷

প্রসঙ্গত, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ তার আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি৷ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে৷ গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ৷ অভিযোগ, তাঁর আমলেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়৷ অপরদিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই৷ গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলা৷ প্রসন্নকে এর পরে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই৷ তবে গ্রেফতার করা হলেও প্রসন্নের বিচার শুরু হয়নি৷ চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন৷ বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় তাঁকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এরপর তাঁকে ইডি গ্রেফতার করে৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁদের ‘ভূমিকা’ বোঝার জন্য জোরালো তদন্তও চলেছে৷