• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তীব্র গরমে বর্ধমানের চিডি়য়াখানায় জীবজন্ত্তদের স্বস্তি দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

দেওয়া হচ্ছে ফ্রুট জুস, ওআরএস আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৮ এপ্রিল— রাজ্যের যে ক’টি জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ব বর্ধমান৷ আর এই গরমে মানুষের যেমন হাঁসফাঁস অবস্থা একই সঙ্গে জীবজন্ত্তদেরও নাজেহাল অবস্থা৷ আর সে জন্যই এবার বনদপ্তরের উদ্যোগে বর্ধমানের রমনাবাগান চিডি়য়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো৷ জীবজন্ত্তদের স্বস্তি দিতে নিয়ম করে তাদের সুস্থ

দেওয়া হচ্ছে ফ্রুট জুস, ওআরএস

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১৮ এপ্রিল— রাজ্যের যে ক’টি জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ব বর্ধমান৷ আর এই গরমে মানুষের যেমন হাঁসফাঁস অবস্থা একই সঙ্গে জীবজন্ত্তদেরও নাজেহাল অবস্থা৷ আর সে জন্যই এবার বনদপ্তরের উদ্যোগে বর্ধমানের রমনাবাগান চিডি়য়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো৷ জীবজন্ত্তদের স্বস্তি দিতে নিয়ম করে তাদের সুস্থ রাখতে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে৷

বৃহস্পতিবার থেকেই তীব্র গরমে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্ত্তর দেখভাল করতে নজরদারি জোরালো করা হল৷ তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক বিশেষ পদক্ষেপ হিসাবে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল৷ সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস৷ চিতাবাঘ, ভাল্লুককে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে৷ রয়েছে বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও৷ এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খডে়র ছাউনি৷ খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার৷ বেশিরভাগ সময় জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে৷ কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে৷ সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন৷

চলতি গ্রীষ্মে তাপমাত্রা প্রতিদিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে৷ বেলা বাড়তেই গরম হওয়া বইছে বর্ধমানে৷ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাবদাহ আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান চিডি়য়াখানা কর্তৃপক্ষ৷ বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক৷

এখানে চিতাবাঘ থেকে ভালুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে৷ সমস্ত প্রাণীদের গরমের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন৷ জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত পশু পাখিদের৷ শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের৷ পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়৷ এনক্লোজারের ভিতরে মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে৷ অভয়ারণ্যের ভিতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে৷ তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত৷ যাতে কুমিরদের কোনও সমস্যা না হয়৷