• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাতের ইডেনে দুই নায়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি— আইপিএল ক্রিকেটে গত মঙ্গলবার ইডেনের রাতে দর্শকরা দু’টি শতরান উপভোগ করেছেন৷ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের খেলাকে ঘিরে প্রচণ্ড গরমে উদ্দীপনা চোখে পড়েছে৷ আসলে লিগ টেবলে ফাস্ট বয় হিসেবে রাজস্থান এবং সেকেন্ড বয় হিসেবে কলকাতার লড়াইটা দেখার জন্য হয়তো দর্শকদের ভিড় দেখা গিয়েছে৷ অনেকে ভেবেছিলেন, কলকাতার খেলোয়াড়রা দুরন্ত ভূমিকা নিয়ে রাজস্থানকে হেলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি— আইপিএল ক্রিকেটে গত মঙ্গলবার ইডেনের রাতে দর্শকরা দু’টি শতরান উপভোগ করেছেন৷ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের খেলাকে ঘিরে প্রচণ্ড গরমে উদ্দীপনা চোখে পড়েছে৷ আসলে লিগ টেবলে ফাস্ট বয় হিসেবে রাজস্থান এবং সেকেন্ড বয় হিসেবে কলকাতার লড়াইটা দেখার জন্য হয়তো দর্শকদের ভিড় দেখা গিয়েছে৷ অনেকে ভেবেছিলেন, কলকাতার খেলোয়াড়রা দুরন্ত ভূমিকা নিয়ে রাজস্থানকে হেলায় ফেলে দেবেন৷ কিন্ত্ত রাজস্থানের খেলোয়াড়রাও প্রস্ত্তত ছিলেন যে কোনওভাবেই হোক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাঁদের দাপটকে প্রকাশ করার৷ সত্যিই তাই হল৷ ইডেন উদ্যান প্রথমে চিৎকারে উত্তাল হয়ে কলকাতা দলের সুনীল নারাইনের শতরানে৷ তিনি মাত্র ৫৬ বলে ১০৯ রান করেছিলেন৷ শুধু তাই নয়, কলকাতার স্কোর বোর্ডকে একট দারুণ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন নারাইন৷ তিনি ১৩টি চার ও ৬টি ছয় মেরে যখন আউট হয়ে যান, তখন সবাই উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান৷ এমনকি চার ওভার বলও করেছিলেন৷ তারই মধ্যে তিনি ২টি উইকেট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন৷ অনবদ্য পারফরম্যান্সেও কলকাতাকে জেতাতে পারেননি নারাইন৷ ইডেনের উইকেটে সবসময়ই দেখা গিয়েছে কলকাতা দলের আন্দ্রে রাসেলের দাপুটে ব্যাটিং৷ কিন্ত্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তিনি ড্রেসিং রুমে ফিরে যান৷ তারপর রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটিং দেখার জন্য ইডেন অপেক্ষা করেছিল৷ রিঙ্কু এখন ফিনিশার হিসেবে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন৷ কিন্ত্ত রিঙ্কুর সামনে বেশি আর ওভার না থাকায় খুব একটা ভালো রানের অঙ্ক তাঁর ব্যাট থেকে আসেনি৷ এই মুহূর্তে মেন্টর গৌতম গম্ভীরের দর্শনে নারাইন যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে বলতেই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড় প্রাপ্তি৷ আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার পাশে যশস্বীর জায়গাটা পাকা হয়ে গেছেই৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই খেলোয়াড় দারুণ ছন্দে খেলছেন৷ এককথায় বলা যায়, তাঁর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে নতুন করে ছন্দে ফিরে আসাটা নারাইনকে ভালো জায়গা দেবে৷

তবে মাঝেমধ্যেই তিনি ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন৷ আবার শট বাছাইয়ের দিকেও সেইভাবে নজর দেন না৷ কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে৷ অর্থাৎ রাজস্থানকে জিততে গেলে ২২৪ রান করতে হবে এই লক্ষ্যে রাতের উইকেটে ঝড় তোলা ছাড়া আর কোনও কথা ছিল না৷ অন্যদিকে রাজস্থান দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি৷ বিশেষ করে যশস্বী জয়সওয়ালের উপর সবার নজর ছিল হয়তো তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের অঙ্ক আসবে৷ কিন্ত্ত সেই ভাবনা সফল হল না৷ মাত্র ১৯ রান করে তিনি ড্রেসিং রুমে ফিরে যান৷ যশস্বীর সঙ্গে ব্যাট করছিলেন ওপেনার হিসেবে যশ বাটলার৷ বাটলার দেখিয়ে দিলেন অমানুষিক ইনিংস কীভাবে খেলতে হয়৷ যখন সঞ্জু স্যামসন, রিয়ান, জুরেল, অশ্বিন, বোল্ট ও হেটমায়াররা একের পর এক আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখনও কেউ ভাবতে পারেনি রাজস্থানের বাটলার কলকাতা দলের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেবেন৷