• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা’র আগেই বাবা বড় কাছারী মন্দিরে অভিষেক

নিজস্ব প্রতিনিধি– রামনবমীর দিনে দেবতার আরাধনায় নিমগ্ন রইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ নববর্ষে মা-মাটি-মানুষের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হলেন তিনি৷ তাঁর নিজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বাবা বড় কাছারী মন্দিরে গিয়ে ভক্তিভরে পুজো দিলেন বুধের দুপুরে৷ ১৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন, অভিষেকের ভাষায় এটি ‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা’৷ নিজ আচার, রীতিনীতি অনুযায়ী তাই পরীক্ষার আগেই

নিজস্ব প্রতিনিধি– রামনবমীর দিনে দেবতার আরাধনায় নিমগ্ন রইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ নববর্ষে মা-মাটি-মানুষের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হলেন তিনি৷ তাঁর নিজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বাবা বড় কাছারী মন্দিরে গিয়ে ভক্তিভরে পুজো দিলেন বুধের দুপুরে৷ ১৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন, অভিষেকের ভাষায় এটি ‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা’৷ নিজ আচার, রীতিনীতি অনুযায়ী তাই পরীক্ষার আগেই দেবতার আশীর্বাদ নিতে গেলেন অভিষেক৷ এদিনও মন্দির চত্বরে জনপ্লাবন লক্ষ করা যায় অভিষেককে ঘিরে৷ অভিষেকও নিজ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সবাইকে হাত নাড়িয়ে প্রতিবার্তা দিয়ে জনসমর্থন আদায় করেন৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দল৷ আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার সর্বত্রই ফুটেছিলো পদ্মফুল৷ এবার নিজ ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল৷ অভিষেক নিজেই তৈরী করেছেন ‘অভিষেক স্ট্রাটেজি’, যার প্রতিফলন দেখা গেছে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে৷ কখনও জনগর্জন সভা থেকে গর্জে উঠেছেন আবার কখনও সাংগঠনিক বৈঠক থেকে দলীয় কর্মীদের কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন৷ আবার কখনও প্রচারকার্য থেকে সামান্য বিরতি নিয়ে ছুটে গেছেন মন্দিরে৷

রাজ্যের প্রথম দফার ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গেই৷ তাই উত্তরবঙ্গের যাবতীয় প্রচারকার্য এবং দলীয় বৈঠক ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছেন যুবরাজ৷ সব কিছুর মাঝেও নিজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের জন্য রয়েছে বাড়তি সতর্কতা৷ বহুদিন পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার ছিল ‘বিরোধী শূণ্য’৷ কিন্ত্ত দিন কয়েক আগেই আইএসএফ এবং বিজেপি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে এই কেন্দ্রে৷ এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম অভিজিৎ দাস ওরফে ববি এবং আইএসএফ প্রার্থী হলেন মজনু লস্কর৷ সম্প্রতি নওশাদ সিদ্দিকিকে নিয়ে জল্পনা হলেও শেষে প্রমাণিত হয়েছে– হুঙ্কারই সার, অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রণে ভঙ্গ নওশাদের৷ যদিও অভিষেকের ভাষায়, প্রার্থী যেই হোক না কেন নির্বাচন হবে কর্মের ভিত্তিতে৷ সাধারণ মানুষ নিজের অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দেবেন৷ অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারের সাংগঠনিক বৈঠকেও নিজ দলীয় কর্মীদের কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন, জিততেই হবে নয়তো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সরে যেতে হবে নিজ পদ থেকে৷ সবমিলিয়ে ভোটযুদ্ধের জন্য একেবারে প্রস্তুত হয়েছেন যুবরাজ৷ বুধে শিবের আশীর্বাদ নিয়ে সেই প্রস্তুতিকেই আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন তৃণমূল সেনাপতি৷