পরিবর্তিত হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। শনিবার দুপুরে একটি বিবৃতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তরফে গণমাধ্যমগুলিকে জানানাে হয়, পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল পদে আনা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং প্রাক্তন সাংসদ জগদীপ ধানকরকে। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানান। এদিন এই নিয়ে তাঁকে ফোন করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০১৪ সালের ২৪ জুলাই তৎকালীন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার দিন আগেই নতুন রাজ্যপালের নাম ঘােষণা করা হয়।
শনিবার বিকেল ৩ টা ৭ মিনিট নাগাদ টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘শ্রী জগদীপ ধানকরকে বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসাবে স্বাগত জানাই। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে এই মাত্র খবর পেলাম। তাঁকে আমাদের সুন্দর রাজ্যে স্বাগত জানাই’।
মুখ্যমন্ত্রী এই ট্যুইটের মাধ্যমে রাজ্যপালকে স্বাগত জানালেও সংবাদ মাধ্যম মারফত তাঁর রাজ্যপাল নিয়ােগের খবর পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অল্প বিস্তর গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও এরপর আরও একটি টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বাংলার নতুন রাজ্যপাল নিয়ােগ সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাঙ্গে এইমাত্র কথা হল। ওনাকে জানিয়েছি যে আমি ইতিমধ্যেই নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়েছি’।
পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার আইনজীবী। পাশাপাশি তিনি রাজস্থানের কিষণগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। এছাড়াও ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজস্থানের ঝুনঝুনুর সাংসদ হিসাবে কার্যনির্বাহ করেছেন।
২০০৩ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যােগদান করেন। দলত্যাগ প্রসঙ্গে সেই সময় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ধানকার বলেছিলেন, বাজপেয়ী সরকার আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের সুনাম বৃদ্ধি করেছে এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একজন মহিলাকে সামনে এনেছেন। বিষয়গুলি নিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যােগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখযােগ্যভাবে রাজস্থানে জাঠদের সংরক্ষণ অব্যাহত রাখতে একসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জগদীপ ধানকর।