• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পাকিস্তানে ভারতীয় বন্দি সরবজিতের খুনি সরফরাজ নিহত

করাচি, ১৪ এপ্রিল– ২০১৩ সালে লাহোরের জেলে মৃতু্য হয়েছিল ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংহের৷ জেলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আমির সরফরাজকে এ বার গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল৷ কে তাঁকে মারল তা এখনও জানা যায়নি৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল ডন সরফরাজের৷ খুন,

করাচি, ১৪ এপ্রিল– ২০১৩ সালে লাহোরের জেলে মৃতু্য হয়েছিল ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংহের৷ জেলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আমির সরফরাজকে এ বার গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল৷ কে তাঁকে মারল তা এখনও জানা যায়নি৷

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল ডন সরফরাজের৷ খুন, অপহরণ-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সরফরাজকে লক্ষ্য করে গুলি করেছেন বলে সূত্রের খবর৷

১৯৯০ সালে পাকিস্তানের লাহোর এবং ফয়সালাবাদে পর পর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল৷ সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় সরবজিতের নাম জডি়য়ে যায়৷ শুধু তা-ই নয়, সরবজিতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও এনেছিল পাকিস্তান সরকার৷ তবে সরবজিতের পরিবার বার বার দাবি করেছে, তাদের ছেলে কোনও ভাবেই কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়৷

জানা যায়, কৃষক পরিবারের ছেলে সরবজিৎ এক দিন রাতে মত্ত অবস্থায় পথ ভুলে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন৷ সে সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সরবজিৎ৷ প্রায় ন’মাস তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না৷ এক বছর পর সরবজিতের পরিবারের লোকেরা একটি চিঠি পান৷ সেই চিঠি থেকেই তাঁরা জানতে পারেন মনজিৎ সিংহ নামে পাকিস্তানের জেলে বন্দি আছেন সরবজিৎ৷
পাকিস্তান আদালত সরবজিৎকে একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে৷ বিস্ফোরণ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ মনজিৎ সিংহ বলে তাঁকে ধরা হয়েছিল৷ যদিও পরে আসল মনজিৎ ধরা পডে়ন৷