খায়রুল আনাম: পয়লা বৈশাখের সকালে সকলকে আহ্বান জানিয়ে হাতে মিষ্টির প্যাকেট ও ক্যালেণ্ডার তুলে দেওয়ার জন্য রাত জেগে তার প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ছিলেন সকলেই৷ তারই মধ্যে নলহাটি – মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বীরভূমের নলহাটির তিলোড়া বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে পাথর বোঝাই ডাম্পার ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটে যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড৷ আর এই দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় দু’দিকেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে অজস্র গাড়ি৷
রবিবার পয়লা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল রাতের দিকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার যাচ্ছিল মোড়গ্রামের দিকে৷ সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটির সামনের ইঞ্জিনে সজোরে ধাক্কা মারার ফলে ডাম্পারের ব্যাটারিতে আগুন ধরে যায় এবং ব্যাটারিটি ফেটে যাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ডাম্পারের সামনের অংশ৷ প্রাণ বাঁচাতে ডাম্পারের চালক এবং খালাসি কোনক্রমে কেবিন থেকে বেরিয়ে ঝাঁপ দিয়ে নামতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়ে নীচে পড়েন৷ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে তিলোড়া বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় যাঁরা পয়লা বৈশাখের প্রস্তুতি ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ খবর পেয়ে প্রথমে লোহাপুর ফাঁড়ির পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ আহত ডাম্পারের চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ এঁদের মধ্যে একজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় নলহাটি থানার পুলিশ৷ রামপুরহাট থেকে দমকলের গাড়ি এসে যখন পৌঁছয় তখন ডাম্পারটি প্রায় পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে৷ দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় দু’দিকে তখন সারিবদ্ধভাবে বহু সংখ্যক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়েছে৷ পরে পুলিশ পুড়ে যাওয়া ডাম্পারটি এবং দুর্ঘটনায় পড়া লরিটিকে সটিয়ে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ মুক্ত করায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়৷